জাতীয় পেনশন কর্মসূচিতে (স্কিম) প্রথমদিনে এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ তালিকাভুক্ত (এনরোল) হয়েছেন। তারা নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে মাসের চাঁদা পরিশোধ করেই এতে তালিকাভুক্ত হয়েছে। অপরদিনে এ সময় পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে ৮ হাজারের মতো নাগরিক নিবন্ধন করেছেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবারের হালনাগদ তথ্য এখনও সংগ্রহ করিনি। বৃহস্পতিবার পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধনের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত ১৬০০ এর কিছু ব্যক্তি চাঁদা দিয়ে এনরোল হয়েছেন। আমরা তাদের প্রত্যেককে ইউনিক আইডি দিয়েছি। অবশ্য এ সময়ে ৮ হাজারের মতো ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন। তবে তাদের সবাই যেহেতু তাদের স্কিমের চাঁদা দেননি সেজন্য তাদের স্কিমে অন্তর্ভুক্ত বলতে পারছি না। তারা চাঁদা দেওয়ার পরই স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হিসেবে কাউন্ট হবেন।
অনলাইনে আবেদন ও পেমেন্ট সিস্টেম চালু থাকায় ২৪ ঘণ্টাই কার্যক্রম চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবেদনকারীর সংখ্যা প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনে যে সাড়া পাওয়া গেছে, সেটি উৎসাহব্যঞ্জক। সামনের দিনগুলোয় সর্বজনীন পেনশনে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা আরও বাড়বে।
দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনার কথা বিবেচনায় নিয়েই এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম চালু করা হয়েছে। বাকি দুটি পরে চালু করা হবে।