তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। তাদের সঙ্গে আমাদের বহুমাত্রিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বৈশ্বিক অঙ্গনেও সন্ত্রাস দমনের পক্ষে একযোগে কাজ করছি। তাদের পরামর্শকে আমরা অবশ্যই মূল্য দেই। আমাদের কাছে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর পরামর্শের অবশ্যই মূল্য আছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক আয়োজন ‘রূপসী বাংলা’ আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র পাঠানো চিঠির বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তো সংলাপ নাকচ করে দিয়েছে। বিএনপি বলেছে, এখন সংলাপের কোনও পরিবেশ নেই। আমরা অবশ্যই সংলাপের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু কোনও সন্ত্রাসীর সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাপিটল হিলে হামলা হওয়ার পর সেই সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বা সরকার আলোচনায় বসেছে? তাদের বরং গ্রেফতার করা হয়েছে, বিচার হচ্ছে। আমাদের দেশেও যারা গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে তাদের সাথে কি আলোচনা হতে পারে? আলোচনা হতে পারে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে নয়।’
এর আগে আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য মন্ত্রী ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং শিল্পকলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘একটা সংবাদ যখন কোনও পত্রিকায় ছাপা হয়, এর সঙ্গে যখন ছবি যায়, মানুষ সেটা অনেক বেশি পড়ে এবং ছবিই কথা বলে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ছবিগুলো যদি না থাকতো, তাহলে কি আমরা মুক্তিযুদ্ধকে আজকে যেভাবে জানতে পারছি, নতুন প্রজন্ম যেভাবে জানতে পারছে, সেটি কি পারতো?’
আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে বহু কালজয়ী ছবি ফটোজার্নালিস্টরা তুলেছেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একজন ফটোজার্নালিস্টের ফটো তোলার মুন্সিয়ানার কারণে সংবাদের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। ফটোজার্নালিস্টরা অনেক সময় সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মেচিত করে।’