কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর দায়ভার বিএনপি-জামায়াতের বলে দাবি করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী তাণ্ডব-সহিংসতা চালিয়েছে। তাদের সশস্ত্র তাণ্ডবের শিকার হয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মৃত্যুবরণ করেছে। এর পুরোপুরি দায়ভার বিএনপি জামায়াত, ছাত্রদল-শিবিরকে নিতে হবে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে ‘বাঙালির চিরতম শোকের মাস আগস্ট’ উপলক্ষে আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার সুচিন্তিত দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ক্রমান্বয়ে ফিরে আসছে।
কোটা সংস্কার ইস্যুতে ছাত্রলীগ যৌক্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে দাবি করে সংগঠনটির এই নেতা বলেন, ‘ছাত্রলীগ কোটা সংস্কারের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে... পলিসি অ্যাডভোকেসি; আমরা দায়িত্বশীল শান্তিপূর্ণ আচরণ করেছি। যে কোনও মূল্যে সংঘাতের ঘটনা যেন না ঘটে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা-অ্যাকাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিতের কথা বলেছে ছাত্রলীগ। আমরা সবসময় বলেছি, এ আন্দোলনে কোনও প্রতিপক্ষ ছিল না, যার ব্যাপারে সরকার আন্তরিকভাবে আদালতের মাধ্যমে আইনগত সমাধানের পক্ষে।’
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘একই সঙ্গে আগস্ট মাসকে কেন্দ্র করে শোক থেকে শক্তি সঞ্চয় করে দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে যেন লড়াই করতে পারি, সংগ্রাম করতে পারি। এই বাংলাদেশে যারা দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে চায়, রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকবে। আমাদের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে স্বাধীনতাবিরোধী মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের মূলোৎপাটন আমরা বাংলাদেশের মাটিতে নিশ্চিত করবো।’
এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘পিতাকে হারানোর পরও অন্ধকারাচ্ছন্ন বাংলাদেশকে আলোর পথে ফিরিয়ে এনেছিল মুজিব সৈনিকেরা। আজকে বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অপছায়া কালো ঘূর্ণিমা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশে আমাদের বার্তা হচ্ছে— নিশ্চয়ই মুজিব আদর্শের সৈনিকদের প্রগতিশীলতার আলোয় এই অন্ধকার বিলীন হয়ে যাবে।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।