ভা রতের মাটিতে ওয়ার্ল্ড টিটোয়েন্টিতে বাংলাদেশ এবারে নতুন কী চমক দেবে, তার জন্য সবাই যখন অধীর অপেক্ষায়, তখনই সোমবার দিল্লিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলো একেবারেই নীরবে। এই আপাত-চমকহীন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো ফেনসিডিল বা কোরেক্সের মতো কাফ সিরাপ। বাংলাদেশে যার প্রভাব হতে পারে অপরিসীম। যদিও কয়েকটি সিরাপ নির্মাতা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এর মধ্যেই আদালতে গেছে।
ফেনসিডিল নামক আপাত নিরীহ সিরাপটিই যে একদা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশকে মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন করে রেখেছিল সেটা ঢাকায় সরকারি পরিসংখ্যানেও কখনও অস্বীকার করা হয়নি। ইদানীং বাংলাদেশের বড় শহরগুলোতে ইয়াবা বা কোকেনের মতো মাদক প্রায় অবাধে ঢুকে পড়লেও গ্রামে-গঞ্জে বা নিম্নবিত্তদের মধ্যে নেশার দ্রব্য হিসেবে ফেনসিডিল এখনও ভীষণ জনপ্রিয়। অনেকেই এই কাফ সিরাপকে ডাকেন ‘ডাইল’ নামে। যে নামটি দেশের নানা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও চালু ছিল।
এমনকি আজও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ যে চোরাকারবারিদের আটক করে থাকে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা জিনিসপত্রের একটা বড় অংশ হলো এই ফেনসিডিল বা তার নানা জাল সংস্করণ!
ভারতে এতদিন ফেনসিডিল নামে জনপ্রিয় ওষুধটি তৈরি করে এসেছে অ্যাবট ইন্ডিয়া নামে প্রথম সারির একটি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা। কিন্তু বহু সময়েই অভিযোগ উঠেছে, এই ওষুধটিতে কোডিনের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেশি এবং এটি নিষিদ্ধ করা উচিত।