বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবারের (৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মনে করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার ৩২ নম্বরে ‘ভাঙচুরের ঘটনা’র তীব্র নিন্দা করা উচিত বলে মন্তব্য করে। তিনি বলেন, ‘যারা বাঙালি পরিচয় এবং গর্বকে লালনকারী স্বাধীনতা সংগ্রামকে মূল্য দেন, তারা সবাই বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার জন্য এই বাসভবনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। এই ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করা উচিত।’
এই বক্তব্যের ওপর জানতে চাওয়া হলে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আপনারা জানেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থান করে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান করছেন, যা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বিষয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বক্তব্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নজরে এসেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বক্তব্য দেওয়া অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা প্রতিবেশী দেশটিতে নানা ধরনের বিরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হতে দেখেছি। কিন্তু, বাংলাদেশ কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও বক্তব্য দেয় না। অন্যদের কাছ থেকেও বাংলাদেশ একই ধরনের আচরণ আশা করে।’