এবারের (২০২৫) এসএসসি পরীক্ষায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার। আর তাই সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১৬ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা-২০২৫ এর জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) আগামী ১০ এপ্রিল শুরু হবে। তত্ত্বীয় এই পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। আর ব্যাবহারিক পরীক্ষা ১৫ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও সুশৃঙ্খলভাবে গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, যার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করাসহ পরীক্ষার সময়ে যেকোনও সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবর্তিত বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। আবহাওয়া এবং বর্তমান পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়াও অসাধু চক্রের যেকোনও অপতৎপরতার প্রতি নজর রাখতে হবে। এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংবেদনশীলতার সঙ্গে আচরণ হবে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য প্রাপ্ত নম্বর নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে ফটোকপি মেশিন বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আগাম বন্যা প্রবণ এলাকায় পরীক্ষা গ্রহণে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোকে সতর্ক থাকতে হবে।
সভায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়। গুজব প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক জনসচেতনতার জন্য প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অনুরোধ করা হয়। বোর্ড থেকে দূরবর্তী কেন্দ্রগুলো থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে বোর্ডে পৌঁছানোর জন্য ডাক বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া বোর্ডের কাছের কেন্দ্রগুলো থেকে উত্তরপত্র দ্রুততম সময়ে সরাসরি বোর্ড পৌঁছানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, এরমধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন, ছাত্রী ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ২৯১টি, প্রতিষ্ঠান সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪টি।
বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জনের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন, ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২৫টি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৩টি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সর্বমোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জনের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন, ছাত্রী ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।