সার্বিকভাবে ব্যাংকখাতের শৃঙ্খলা, খেলাপি ঋণ আদায়, এনবিআরের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ানোর উপায়, কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়াবো এগুলো নিয়ে আমার সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, সবার সঙ্গে ওরা পৃথকভাবে বসবে। তারপর কয়দিন পরে আপনারা জানতে পারবেন।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আইএমএফ’র মূল ফোকাস ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর একটু স্থিতিশীল করা, বাজেটে ঘাটতি কমানো।
তিনি বলেন, ভ্যাটহার একবারে সিঙ্গেল রেটে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়, তবে আমরা চেষ্টা করছি। আইএমএফ তাদের ঋণের দুই কিস্তির অর্থ একবারে দেবে। ওরা এখন রিভিউ করবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণের কিস্তি এক সঙ্গে পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। ওরা (আইএমএফ) বলেছে দেখবে। মে-জুনের দিকে বৈঠক হবে। এই রিভিউয়ের ওপরই তাদের সুপারিশ।
চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ঋণের ক্ষেত্রে আইএমএফ'র মূল ফোকাস কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ট্যাক্স জিডিপি রেশিও বাড়ানো, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আর একটু স্থিতিশীল করা, তারপর বাজেটে ঘাটতি কমানো এগুলো মেইন ফোকাস।
ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয় সম্পর্কে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আমাদের জিডিপি নেপালের চেয়ে অনেক বড়, ওরা বলে নেপালের থেকে তোমাদের অনেক কম। ওদের (নেপাল) ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। ভারতে প্রায় ১৭ থেক ১৮ শতাংশ। আইএমএফ বলেছে, তোমাদের এটা (ট্যাক্স জিডিপি রেশিও কম) হওয়ার কারণ হয় নেট (আওতা) কম। লাখ লাখ লোক আছে যারা জিরো ট্যাক্সে রিটার্ন দেয়, তাদের আয় আছে কিন্তু তারা রিটার্ন দেয় না।