X
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথা মনে করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:১৭আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:১৩

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ‘১৯৭১ সালে প্রাণ ত্যাগের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশের সূচনা হয়। এখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৮ কোটি, তখন ছিল এর তিন ভাগের একভাগ। এরপর আসে ১৯৭৪।’ একথা বলেই আবেগপ্লুত হয়ে নীরব হয়ে যান প্রধান উপদেষ্টা। বেশ কিচ্ছুক্ষণ কোনও কিছু বলতে পারেননি তিনি। পরে তিনি চোখ ছলছল অবস্থায় আবার বলতে শুরু করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ক্ষুধায় মানুষ মারা গেছে। আমাদের দেশের অনেক বড় একটা দুর্ভিক্ষ ছিল। ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। তখন এমন ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ।’

বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।

কথা বলছেন প্রফেসর ইউনূস

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা (বছরে) একটিই ফসল ফলাতাম তখন। আমাদের অন্য কোনও উপায় জানা ছিল না। আমাদের দেশের মানুষ কৃষক হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কারণ তাদের আর কোনও পেশা ছিল না। আর তাদের মধ্যে তিন চতুর্থাংশের নিজের কোনও জমি ছিল না। জীবন নির্বাহের জন্য একটিই ফসল ফলাতো। জীবন অনেক কঠিন ছিল। যদি আপনি ১৯৭৪ সাল থেকে ২০২৫ সালের এই যাত্রা খেয়াল করেন, দেখবেন অনেক চমৎকার একটি সফর। বড় বড় শিল্প নিয়ে আমরা আলাপ করছি, বিদেশি অনেক কোম্পানি আরও শিল্প কারখানা এখানে গড়ে তুলতে চায়, বড় বড় বাজার নিয়ে কথা হয়, তরুণ জনগোষ্ঠী নিয়ে আলাপ হয়। খুব অল্প সময়ে অনেক পথ পেরিয়ে , এটি এখন বাংলাদেশ।’

দুর্ভিক্ষের সেই সময় গরীব মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, যাতে তারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করতে পারে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বিশেষ করেন নারীদের দেওয়া হয়েছিল। সেটি ছিল ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি। আমরা গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করলাম। কোনও ধারণাই ছিল না কোন পথে যাবে। বৈশ্বিক এক নামে পরিণত হলো।’

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা

বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে দেশেই বসবাস করেন না কেন, আপনার ভেতর ছোট একটি ১৯৭৪ বসবাস করে। আপনারা দেখতে চান না, লুকিয়ে রাখেন মানুষকে অর্থ সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে। আমি সবসময় বলে আসছি জনগণের অর্থ গরীব মানুষকে দেওয়ার মধ্যে কোনও সমাধান নেই। সমাধান আছে অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে, মানুষের শক্তিকে বের করে নিয়ে আসার মধ্যে। ক্ষুদ্র ঋণ একটি সামান্য উদ্যোগ। একটা উদ্ভট পরিকল্পনা তৈরি করা হলো সরকারের টেলিফোন লাইসেন্স ইস্যু করার মাধ্যমে।’

গ্রামীণফোন চালুর ইতিহাস স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের টেলিফোনের প্রয়োজন ছিল না। বেশিরভাগই কাজ করে না। টেলিফোন কোম্পানির জন্য লাইসেন্স লাগবে কেন তাহলে। সরকার জিজ্ঞেস করে, টেলিফোন কোম্পানি দিয়ে কী করবেন? আমি বললাম যে, গরীব নারীদের দিবো। আমরা লাইসেন্স পেলাম। গ্রামীণ ব্যাংকের পর গ্রামীণফোন প্রতিষ্ঠিত হলো।’

/এসও/ইউএস/
সম্পর্কিত
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সালাউদ্দিনতিন উপদেষ্টাকে বিদায় করুন, আপনি কি চান নির্বাচনের জন্য যমুনামুখী লংমার্চ করুক জনগণ
স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা
‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করলেন প্রধান উপদেষ্টা
সর্বশেষ খবর
আদালতে কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া
আদালতে কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া
৯ মাস পর নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনাসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
৯ মাস পর নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনাসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
আইপিএল: একটি জায়গার জন্য প্লে-অফের লড়াইয়ে তিন দল
আইপিএল: একটি জায়গার জন্য প্লে-অফের লড়াইয়ে তিন দল
গৃহবন্দি লেকশোর হোটেল মালিককে হাজির করতে সন্তানদের রিট
গৃহবন্দি লেকশোর হোটেল মালিককে হাজির করতে সন্তানদের রিট
সর্বাধিক পঠিত
চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আল্টিমেটাম, দাবি না মানলে লং মার্চ টু জাহাঙ্গীর গেট
চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের আল্টিমেটাম, দাবি না মানলে লং মার্চ টু জাহাঙ্গীর গেট
আরও দুর্বল হলো টাকা
আরও দুর্বল হলো টাকা
পাঁচ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, দাবি না মানলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি শ্রমিকদের
পাঁচ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, দাবি না মানলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি শ্রমিকদের
ঢাকা আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
জামায়াতের দুই নেতাকর্মীকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
জামায়াতের দুই নেতাকর্মীকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ