সংস্কৃতি-বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপন এবার আরও বর্ণিল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রূপ নিতে যাচ্ছে। বাঙালিদের পাশাপাশি দেশের ২৭টি জাতিগোষ্ঠীও অংশ নেবে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়। তিনি বলেন, ‘‘বিভাজন দূর করে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বর্ষবরণের আয়োজন করছি।’’
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সমাজের একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেকটা গোষ্ঠীর দূরত্ব ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আমরা সেটি দূর করে সবাইকে নিয়ে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বর্ষবরণের আয়োজন করছি।’
তিনি বলেন, ‘নববর্ষের দিন ছায়ানটের বরাবরের অনুষ্ঠান এবারও হবে। তবে সুরের ধারার আয়োজনটি স্থান পরিবর্তন করে রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠিত হবে। সরকারে অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুরের ধারা এবার বাংলা গানের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী পরিবেশনাও করবে।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টা আরও জানান, এবার প্রথমবারের মতো নববর্ষের শোভাযাত্রায় যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন। ২০০ গিটারিস্ট নিয়ে অংশ নেবেন তারা। ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে পরিবেশন করবেন ‘ফ্রম দ্য রিভার টু সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ গানটি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নববর্ষ উপলক্ষে চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে এক বিশেষ ড্রোন শো। এতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলনসহ নানা বিষয় তুলে ধরা হবে।’
শোভাযাত্রায় বাংলার লোকসংস্কৃতির নানা দিক তুলে ধরা হবে বলে জানিয়ে ফারুকী বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা মধ্যবিত্তদের উদ্যোগে শুরু হলেও এর সঙ্গে ফসল ও কৃষকের সম্পর্ক ছিল। এই বিষয়গুলো এতদিন শোভাযাত্রায় তেমনভাবে প্রতিফলিত হয়নি। এবার কৃষক থিমটি বড় আকারে তুলে ধরা হবে।’
নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সভা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, নিরাপত্তার কোনও ঝুঁকি আছে।’
শোভাযাত্রার নাম কী হবে, তা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঘোষণা করা হবে বলে জানান সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।