যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ইউক্রেনের জন্য এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি বিক্রয়ের সম্ভাব্য অনুমোদন দিয়েছে। শুক্রবার (২ মে) পেন্টাগন জানিয়েছে, এসব সরঞ্জামাদির মোট মূল্য ৩১০ মিলিয়ন ডলার। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
এই চুক্তির কয়েক দিন আগেই ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের নতুন খনিজ সম্পদের প্রকল্পগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে এবং ইউক্রেনের পুনর্গঠনে বিনিয়োগে অর্থায়ন করা হবে। এই চুক্তিটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন।
এই বিক্রয়ের আওতায় বিমান সংশোধন ও আধুনিকায়ন, ফ্লাইট প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও টেকনিক্যাল সহায়তা; অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ, মেরামত, মাটিতে পরিচালনার সরঞ্জাম, গোপন সফটওয়্যার, গোপন নথি ও অন্যান্য সহায়তা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
ইতঃপূর্বে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পেয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অনুমোদিত একটি জেট হস্তান্তর কর্মসূচির অধীনে এটি প্রদান করা হয়।
বাইডেন প্রশাসনের অধীনে প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন অথরিটি (পিডিএ) ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ৩১ বিলিয়ন ডলারের বেশি অস্ত্র ও সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই দ্রুত বিদেশি দেশে মার্কিন সামরিক মজুত থেকে অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন।
পেন্টাগন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অস্ত্র ও অন্য যেসব অস্ত্র ইউক্রেনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থে কেনা হয়েছে এবং একই চ্যানেলের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলোর প্রবাহ অব্যাহত আছে। তবে এই বিক্রয় সেগুলোর থেকে আলাদা এবং এটি একটি বাস্তব অস্ত্র বিক্রয় চুক্তি, যার প্রধান ঠিকাদারদের মধ্যে রয়েছে লকহিড মার্টিন অ্যারোনটিক্স, বিএই সিস্টেমস এবং এএআর কর্পোরেশন।