রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে ১৯৯৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শনিবার (১০ মে) রাতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়।
সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ জারি করেন।
সংশোধিত গেজেটে বলা হয়েছে, কোনও সংগঠন অর্থাৎ কোনও রাজনৈতিক দল, অথবা সেই দলের অধীনস্ত, সংশ্লিষ্ট বা সহযোগী কোনও সত্তা, অথবা এমন কোনও ব্যক্তি-গোষ্ঠীকে বোঝায় যা ট্রাইব্যুনালের অভিমত অনুযায়ী, ওই দল বা সত্তার কার্যকলাপ প্রচার, সমর্থন, অনুমোদন, সহায়তা বা সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জড়িত থাকে।
সংগঠনের জন্য শাস্তির ক্ষেত্রে বলা হয়, এই আইনে বা তৎকালীন প্রযোজ্য অন্য কোনও আইনে যাই থাকুক, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয়, কোনও সংগঠন এই আইনের ৩ ধারার উপ-ধারা (২) অনুযায়ী উল্লিখিত অপরাধগুলো করেছে, নির্দেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, প্ররোচিত করেছে, উসকানি দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহজতর করেছে বা সহযোগিতা করেছে, তাহলে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার, তার নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার এবং তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রাখবে।