সম্প্রতি সুনামগঞ্জের উত্তর ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদেরকে ৪ কোটি টাকা কেন ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিবাদীদের দায়িত্ব পালনে নীরবতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণাদেব নাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন, সুনামগঞ্জের ডিসি, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাশগুপ্ত। তাকে সহযোগিতা করেন মুনতাসির মাহমুদ রহমান, সুদ্বীপ্ত অর্জুন ও সৈয়দ ফজলে হাই।
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে রিটের পক্ষের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ এপ্রিল সুনামগঞ্জের উত্তর ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থানার চামারদানী ইউনিয়নের রামদিঘা গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রঞ্জিত সরকার (৪৫), স্ত্রী রীতা সরকার (৩৫), ভাতিজি সোনালী সরকার (১০) ও রঞ্জিত সরকারের বাবা জগদীশ সরকার (৭০) মারা যান। পরে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাদেরকে দাহ করা হয়। এ ঘটনায় রিট আবেদনে বিদ্যুৎ সংযোগে অনিয়ম, ত্রুটি ও মানুষের জীবন রক্ষায় ব্যর্থতার কারণে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, মাত্র ১ মাস আগে ওই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল একাধিক জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ সংযোগে ত্রুটি ও অনিয়ম থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গত ২ মে অ্যাডভোকেট চঞ্চল বিশ্বাস হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে নাক না গলানোর আহ্বান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
/ইউআই/এপিএইচ/