গুলশান হামলায় সাতজন জাপানি মারা যাবার পরে বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে টোকিও।
বাংলাদেশে নিরাপত্তার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর জন্য জাপান ও ইতালি একসঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে বলে সম্মত হয়েছে।
এদিকে যে সাতজন জাপানি মারা গেছেন তার মধ্যে ছয় জন জাপানের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা জাইকায় কাজ করতেন এবং তারা এদেশে এসেছিলেন মেট্রো রেল প্রকল্পে কাজ করার জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সোমবারের এক সংবাদে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার পরে বাংলাদেশে জাইকার কার্যক্রম স্থগিত হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এদেশে জাইকা কার্যক্রম স্থগিত করা বা কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করা সংক্রান্ত কোনও নোটিশ বা তথ্য তাদের কাছে নেই।
এদিকে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সব বিদেশি কূটনীতিকদের এক বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাকো ওয়াতানাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে গুলশান ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক দিবস পালন করায় বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত মিশরের রাষ্ট্রদূত বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন যে, জাপানিজ রাষ্ট্রদূত বৈঠকে একথা বলেন।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, জাইকা বা জাপানিজ দূতাবাস এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানায়নি।
গতমাসে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশে সর্ববৃহৎ জাপানিজ সহায়তা চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাইকার মতো আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা তার প্রতিশ্রুতি থেকে হঠাৎ করে সরে যেতে পারেনা। কারণ, তারা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) -এর ডেভেলপমেন্ট এ্যাসিস্ট্যান্স কমিটির ২৯ সদস্যের একটি জাপান।
জাপান বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সাহায্য প্রদানকারী দেশ এবং গতমাসে সাতটি প্রকল্পে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে জাইকা ও সরকার।
এসএসজেড/ এপিএইচ/