ঢাকায় সাইবার সিকিউরিটি ড্রিল তথা ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের সফল মহড়ার পরে এবার ছুটির দিনে দিনের আলোয় এই মহড়া করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সোমবার মধ্য রাতের পরে মহড়া শেষে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে মহড়ায় উপস্থিত একটি সূত্র বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সূত্র জানায়, এটি সফল হলে ঢাকার বাইরেও এ ধরনের মহড়া করা হতে পারে বলে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় সোমবার বিকাল থেকে এই মহড়ার আলোচনা চললেও মধ্যরাতের পর রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় এ মহড়া শুরু হয়।
সূত্র জানায়, রাত ১২টার পরে ইউআরএল ও ওয়েবসাইট ফিল্টারিং শুরু হয়। রাত একটার পরে ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর রাত আড়াইটার পরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় মোবাইল সংযোগও বন্ধ করে দেওয়া হয়। সব কিছুই বন্ধ করা হয় কিছু সময়ের জন্য।
সূত্র আরও জানায়, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক দ্রুত বন্ধ করা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধে বেশি সময় লাগে। কারণ হিসেবে সূত্র উল্লেখ করে, শাহবাগ এলাকায় মোবাইল অপারেটরগুলোর ৬০ টি বিটিএস তথা টাওয়ার রয়েছে। যেগুলো বন্ধে কারিগরি দুর্বলতার চেয়ে প্রশাসনিক জটিলতা বেশি চোখে পড়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, মহড়া শুরু হওয়ার আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বিভিন্ন নেটওয়ার্ক অপারেটরের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই শুরু হয় মহড়া।
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশানে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সময় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী নির্দেশ দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে ইন্টারনেট ও টেলিকম নেটওয়ার্ক সেবা বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে রিয়েল টাইমে টেলিকম নেটওয়ার্ক বন্ধ করার প্রযুক্তি না থাকায় সে সময় এ সমস্যা হয়। ওই অভিজ্ঞতার পর সংকটকালীন এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে এই `সাইবার সিকিউরিটি ড্রিল’ এর আয়েজন করা হচ্ছে। এই ড্রিলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে দেশের বা শহরের কোনও অংশে ইন্টারনেট যোগাযোগ ও টেলিকম যোগাযোগ বন্ধ করা সম্ভব কিনা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে সেটাই যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
/এইচএএইচ/টিএন/
আরও পড়ুন:
মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা