গাজীপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’এর (জেএমবি) এক নারী উপদেষ্টাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। প্রত্যেকের কাছ থেকেই জিহাদী বই, বিভিন্ন ডকুমেন্টারি ও প্রচারকাজে ব্যবহৃত অডিও-ভিডিও সিডি জব্দ করা হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত গাজীপুরের সাইনবোর্ড, মগবাজার ও মিরপুর-১ এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় র্যাব-৪ সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্যরা হলেন, আকলিমা রহমান, ঐশী, মৌ ও মেঘলা। এর মধ্য উপদেষ্টা আকলিমা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘মানারত ইউনিভার্সিটি’তে পড়াশোনা করে।
র্যাব-৪’এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ জুলাই গাজীপুর থেকে জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের আমির মো. মাহমুদুল হাসানকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানান, আকলিমা তাদের হয়ে অন্যান্য নারীদের দাওয়াত দেয় এবং ইয়ানত সংগ্রহ করে। এরপর থেকে র্যাব আকলিমাকে নজরদারিতে রাখে এবং তার বিরুদ্ধে জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। এ অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। গ্রেফতারের সময় তার মোবাইল ফোনে জঙ্গিবাদ ও জিহাদ-সংক্রান্ত বিপুল তথ্য পাওয়া গেছে। আকলিমা দেড় বছর ধরে জিহাদী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আকলিমা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঐশী নামের আরেক নারী সদস্য তিন বছর ধরে জিহাদি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। ঐশীও ইয়ানত সংগ্রহের পাশাপাশি দাওয়াতের কাজ করে থাকে। এ ছাড়া নারী ইউনিটের সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আকলিমা ও ঐশী নিয়ে থাকে। এ অবস্থায় র্যাব সোমবার সকাল ৮টায় রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঐশীকে গ্রেফতার করে। তার মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে জিহাদি সংক্রান্ত তথ্যাদি পাওয়া গেছে।
এরপর ঐশী জানায়, মৌ ও মেঘলা নামে আরও দুই নারী তাদের সঙ্গে কাজ করে। এর মধ্যে মৌ সাত মাস ধরে জিহাদি কার্যক্রমে জড়িত। এই তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুর-১ এর জনতা-হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মৌকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মেঘলাকে। দু’জনের কাছেই জিহাদ-সংক্রান্ত বইপত্র পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন-
মিতু হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুছা ভারতে গ্রেফতার!
হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে হাতিটি, ময়নাতদন্ত ঘটনাস্থলেই
/এনএল/এআরএল/