জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য প্রদানের জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নতুন করে নেওয়ার জন্য আবেদন করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১২ জানুয়ারি সাক্ষীর সাক্ষ্য নতুন করে নেওয়ার দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার অন্যতম প্রধান আইনজীবী মো. সানাউল্লাহ মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালত-৩ এর অস্থায়ী এজলাসে হাজির হন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) দিন ধার্য রয়েছে। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থণের জন্য আজকের দিন ধার্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়া তার বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। সেদিন তিনি আংশিক বক্তব্য দেন। সেদিনের বক্তব্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয় বলে আদালতকে জানান খালেদা জিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনও বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
/এসআইটি/এআর/এপিএইচ/
আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিষয়ক তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন ‘ত্রুটিপূর্ণ’: এইচআরডব্লিউ