শুক্রবার আশকোনায় র্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে আত্মঘাতী হামলার পরের দিন সকালেই খিলগাঁও শেখের জায়গা এলাকায় র্যাবের চেকপোস্টে হামলার চেষ্টা করে এক যুবক। তবে হামলা করার আগেই র্যাব সদস্যদের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়। এ হামলাকারীর কাছ থেকে বোমা ও ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই যুবকের আত্মঘাতী হামলা চালানোর কোনও পরিকল্পনা ছিল কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানতে পারেনি র্যাব।
আশকোনার হামলার সঙ্গে খিলগাঁও হামলার যোগসূত্র রয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে পারেননি র্যাব ৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। তবে সব বিষয় তারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবককে সন্দেহ হলে তাকে থামার নির্দেশ দেয় চেকপোস্টে থাকা র্যাব সদস্যরা। নির্দেশ অমান্য করে চলে যাওয়ায় তাকে গুলি করা হয়। এরপর সে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তার দেহে তল্লাশি চালানো হয়। সেটা সিগন্যাল দেয়।’
পরে তিনি জানান, হামলাকারীর কাছ থেকে তিনটি বোমা ও একটি ভেস্টের মতো বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এর ভেতরে দুটি বোমা ছিল। উদ্ধার করা পাঁচটি বোমার মধ্যে দুটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে র্যাবের চেকপোস্টে হামলার চেষ্টাকারীর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে কোনও নম্বরপ্লেট নেই। ফলে মোটরসাইকেলটি রেজিস্ট্রেশন করা কিনা তা জানা যায়নি। হামলাকারীর নাম-পরিচয়ও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর কোমরে ‘সুইসাইডাল ভেস্ট’ পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন রাজধানীর আশকোনায় হাজি ক্যাম্পের কাছে একটি বাড়িতে থাকা নারী জঙ্গি। বাড়ির ভেতরে থাকা তিনজনকে আত্মসমর্পণ করতে বললে বোরকা পরা সেই নারী ধীরে ধীরে হেঁটে ঘরে থেকে বের হন। তখন তাকে হাত উঁচু করতে বললে তিনি তা করে ফের নামিয়ে নেন এবং বোরকা পরা থাকায় বোঝা যাচ্ছিল না তার কোমরে সুইসাইডাল ভেস্ট রয়েছে কিনা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘরের দরজার কাছে এসে বিস্ফোরণ ঘটান। লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সীতাকুণ্ডের হামলাতেও নিহত এক নারীর শরীরে ভেস্টজাতীয় পোশাক ছিল বলে দাবি করেছে সোয়াত টিম।
এআরআর/ইউআই/এসটি/
আরও পড়ুন:
