X
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ এপ্রিল ২০১৭, ১১:৫৯আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০১৭, ১৭:৪১

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের রাজাকার মোসলেম প্রধান ও পলাতক সৈয়দ মো. হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গুলি বা ফাঁসি দিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

বিচারিক প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।

দুই আসামির বিরুদ্ধে থাকা ছয়টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে।৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, ৫ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও বাকি অভিযোগগুলোতে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। ইন্টারপোলের সহায়তা নিয়ে পলাতক আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইজিপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মোসলেম প্রধানকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় আনা হয়। মোসলেম প্রধান কারাগারে থাকলেও মো. হোসেন পলাতক। হোসেন ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক সৈয়দ মো. হাসান ওরফে হাছেন আলীর ছোট ভাই।

এ দুজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৯ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয় ট্রাইব্যুনালে। এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই এই বিচার শেষে মামলাটি সিএভি রাখেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে হত্যার ৬২টি, অপহরণ ও আটক ১১জনকে এবং লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ আড়াই বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ ছিল।

ছয় অভিযোগ: প্রথম অভিযোগে বলা হয়, একাত্তর সালের আগস্টের মাঝামাঝি  থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিকলীর দামপাড়া গ্রাম ও নিকলী থানা ভবন, সদরের মহাশশ্মান এলাকায় আসামি হোসেন ছয় নারীকে ধর্ষণ, সুধীর সূত্রধরসহ ৩৫ জনকে হত্যা ও বাদল বর্মনসহ চার জনকে নির্যাতন করে।
দ্বিতীয়, অভিযোগটি দুজনের বিরুদ্ধেই। একাত্তরের ২ সেপ্টম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে সৈয়দ হোসেন ও মোসলেম প্রধানের নেতৃত্বে নিকলী বাজার ও থানা কম্পাউন্ড এলাকায় কাশেম আলীসহ চারজনকে আটক ও নির্যাতন করা হয়।
তৃতীয় অভিযোগে, নিকলীর গুরুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় ১৯৭১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ফুল মিয়াসহ ২৬ জনকে হত্যা এবং আড়াইশ বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের উল্লেখ আছে।
চতুর্থ অভিযোগটি, হোসেনের বিরুদ্ধে। এতে বলা হয়েছে, একাত্তর সালের ২১ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিকলীর নানশ্রী গ্রামে তোফাজ্জল খান জিতুসহ সাতজনকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।
পঞ্চম অভিযোগ, হোসেন ও মোসলেম দুজনের বিরুদ্ধেই। একাত্তর সালের ১০ অক্টোবর নিকলী সদরের পূর্বগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল মালেককে তার নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।
ষষ্ঠ অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহান ও মো. সেলিমকে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ রাজাকার হোসেন কিশোরগঞ্জ পৌরসদর, প্যারাভাঙা ও শোলাকিয়ায় রিকশা দিয়ে ঘুরানো ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল জাহানের মাকে তার ছেলের রক্ত দেখিয়ে বীভৎসতার প্রমাণ রেখেছিলেন।

/এমটি/ইউআই/এসটি/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
চট্টগ্রামে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, রেললাইনের পাশে আগুন 
চট্টগ্রামে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, রেললাইনের পাশে আগুন 
ভোটারদের লাইন নেই, অলস সময় কাটছে দায়িত্বরতদের
ভোটারদের লাইন নেই, অলস সময় কাটছে দায়িত্বরতদের
সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই পেলো প্রথম কমিটি
সাস্ট ফিজিক্স অ্যালামনাই পেলো প্রথম কমিটি
দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
উপজেলা নির্বাচনদ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
সর্বাধিক পঠিত
১০০ লিচু ১০০০ টাকা, তবু দুশ্চিন্তায় এই গ্রামের চাষিরা
১০০ লিচু ১০০০ টাকা, তবু দুশ্চিন্তায় এই গ্রামের চাষিরা
ছুটি ছাড়াই ২৩ মাস কর্মস্থলে আসেননি সরকারি এই কর্মচারী
ছুটি ছাড়াই ২৩ মাস কর্মস্থলে আসেননি সরকারি এই কর্মচারী
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
সংসদীয় কমিটির তোপের মুখে টেলিটক
সংসদীয় কমিটির তোপের মুখে টেলিটক
পাউবোর দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
পাউবোর দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা