মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত আরাকান রাজ্য স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের সংগ্রাম চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী। সোমবার দুপুরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘আরাকান স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। প্রয়োজনে মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। রোহিঙ্গাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য কূটনীতিক জোর তৎপরতা চালাতে হবে। এ সংকট সমাধানের একমাত্র পথ আরাকানের স্বাধীনতা।’
হেফাজত নেতা বলেন, ‘মিয়ানমার একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। তাদের দূতাবাস এ দেশে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই।’
রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যা বন্ধে জাতিসংঘ এবং ওআইসিসহ আর্ন্তজাতিক সংগঠনগুলোকে কূটনৈতিকভাবে সমাধানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান না করলে বাংলাদেশ সরকারকে সামরিক অভিযান চালিয়ে আরাকান স্বাধীন করতে হবে। আর সরকারের এ অভিযানে দেশের ১৬ কোটি মানুষ তাদের সঙ্গে থাকবে।’
সমাবেশের পর একটি মিছিল নিয়ে মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করতে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কিন্তু মিছিলটি শান্তিনগর মোড়ে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। পরে হেফাজত ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে রওনা হয়।
এদিন সকাল থেকেই বায়তুল মোকারমের সামনে রাস্তা অবরোধ করে জড়ো হতে থাকেন হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির ঢাকা মহানগরীর সহ-সভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুর হক, মাওলানা মামুনুল হক, আবু তাহের জিহাদি, জোনায়েদ আল হাবিব, মুজিবুর রহমান, আজিজুল হক প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মলেনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
আরও পড়ুন:
২০১৮ সালের শুরুতেই শিশু অধিদফতর করবে সরকার
বাংলাদেশের চাপে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের অবস্থান বদল
‘আরসা কী করে জানি না’ (ভিডিও)