X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আসতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:০৬আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১৩

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে ফেরত আনতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, ‘একদিন না একদিন দেশে ফিরে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।’ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি। 
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান। এরপর থেকে চিকিৎসার সুবিধার্থে তিনি সেন্ট্রাল লন্ডনের এডমন্টনে সপরিবারে বসবাস করছেন। সিঙ্গাপুরে অর্থপাচার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কর্মকর্তার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের মে মাসে ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারি করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি, তারেক রহমান একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একজন আসামিকে ফেরত আনতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’

শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত কম্বোডিয়া সফরের ওপর বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনটি হয়েছে। এখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা আরও বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কারণে খালেদা জিয়ার উচিত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘শরণার্থীদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে। প্রতিবেশী দেশ বলেই আমি চাই, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তা পাচ্ছি। এক্ষেত্রে সবাই খুব সহানুভূতিশীল। এতসংখ্যক শরণার্থীর চলে আসাটা কেউই ভালো চোখে দেখছে না। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনও এ বিষয়ে সমর্থন দিয়েছেন।’

কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের আমন্ত্রণে গত ৩ নভেম্বর দেশটির রাজধানী নমপেনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের সরকারি সফর শেষে কম্বোডিয়া থেকে ৫ ডিসেম্বর বিকালে দেশে ফেরেন তিনি। তার এই সফরে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি পর্যটন, কৃষি, বেসামরিক বিমান চলাচল, আইসিটি ও কারিগরি শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি চুক্তি ও ৯টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

ঢাকা ও নমপেনের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুই দেশের জাতির পিতার নামে নামকরণের ঘোষণাও দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্বোডিয়ার রয়েল প্যালেসে রাজা নরদম সিহামনের দেওয়া রাজকীয় অভ্যর্থনা গ্রহণ করেন। কম্বোডিয়ান চেম্বারের সঙ্গে ব্যবসায়িক সংলাপে অংশ নেওয়া ছাড়াও তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেন।

এছাড়া কম্বোডিয়ার স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধে দেশটির প্রয়াত রাজা নরোদম সিহানুকের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা। নমপেনের কেন্দ্রস্থলে তুল সেলং জেনোসাইড মিউজিয়ামও পরিদর্শন করেছেন তিনি।

২০১৪ সালে ১৬ থেকে ১৮ জুন শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা সফর করেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতায় নিরুৎসাহের কারণ ব্যাখ্যা করলেন শেখ হাসিনা
মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতায় নিরুৎসাহের কারণ ব্যাখ্যা করলেন শেখ হাসিনা
জাল সনদে টেলিটকে চাকরি, পদন্নোতির সময় ধরা ৪ কর্মকর্তা
জাল সনদে টেলিটকে চাকরি, পদন্নোতির সময় ধরা ৪ কর্মকর্তা
পর্দায় বহাল থাকছে বাদ পড়া ‘ওমর’ ও ‘রাজকুমার’
পর্দায় বহাল থাকছে বাদ পড়া ‘ওমর’ ও ‘রাজকুমার’
গোল খরা কাটিয়ে আল নাসরকে ফাইনালে তুললেন রোনালদো
গোল খরা কাটিয়ে আল নাসরকে ফাইনালে তুললেন রোনালদো
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি