X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

অর্ধ শতকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৬

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১১:০৫আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:৪৫

তাপমাত্রার রেকর্ড

তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে গত কয়েকদিন সারাদেশের তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। সোমবার সকালে গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ  দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায়। এর আগে ১৯৬৮ সালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সোমবার আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র ও তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের উচ্চ পর্যবেক্ষক জাকির হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

আহাওয়া অধিদফতরের তাপমাত্রার রেকর্ড

এছাড়া সৈয়দপুরে আজ দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা। এখানকার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দিনাজপুরের তাপমাত্রা ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও দু-এক দিন এই শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে।

শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের লোকজন

আমাদের পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে উত্তরের এ জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছিল। রবিবার পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উত্তরের জনপদের মানুষ। পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।  নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কাজকর্ম না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের এসব লোকজন। অসহায় শীতার্তরা শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখও দেখা যাচ্ছে না। দুপুরের পর সূর্য দেখা গেলেও উষ্ণতা ছড়াতে পারছে না। মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে একটু উষ্ণ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কুয়াশায় দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে গাড়ি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। স্কুল-কলেজগুলোয় উপস্থিতি কমে গেছে। শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় শহরের দোকানপাটও খুলছে না। সড়ক মহাসড়ক ও হাটবাজারগুলোয় লোকজন চলাচল কমে গেছে। দিনের বেলা যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। সরকারিভাবে যে পরিমাণ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তা খুবই সামান্য।

পঞ্চগড়ের নতুন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন,  জেলার পাঁচ উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শীতবস্ত্রের বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

জেলার শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সবজির কেজি এখনও ৬০ টাকার বেশি, ২০০ ছাড়িয়েছে ব্রয়লার
সবজির কেজি এখনও ৬০ টাকার বেশি, ২০০ ছাড়িয়েছে ব্রয়লার
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ২০
পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ২০
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
মুক্তির পর থেকেই মামুনুল হককে ঘিরে অনুসারীদের ভিড়
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ