X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

পিআইবি'র মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আর নেই

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১০:৫০আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৩

শাহ আলমগীর, ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক শাহ আলমগীর আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজেউন)। রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন।

অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তার শয্যাপাশে সার্বক্ষণিক ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক রহমান মোস্তাফিজ। তিনি ফেসবুকে খবরটি জানান। শাহ আলমগীরের ভাগিনা রাইয়ান কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, ‘খবরটি সত্য, আমার ফুফা আর নেই।’

এরআগে, বৃহস্পতিবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। পরদিন তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। শাহ আলমগীরের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়া, ডায়াবেটিসসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা ছিল। বুধবার চিকিৎসকরা জানান, তাকে চিকিৎসা দিতে শারীরিক যে সক্ষমতা থাকা দরকার রোগীর সেই সক্ষমতা ছিল না।

পিআইবি মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী শেখ সাইফউদ্দ্দিন (মিন্টু) জানান, বেলা দুইটার দিকে শাহ আলমগীরের লাশ গোড়ানে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে পিআইবিতে আড়াইটায় এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৩টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে উত্তরার শাহ আলমগীরের বাসভবনে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে তার লাশ দাফন করা হবে।

এদিকে সিনিয়র সাংবাদিক শাহ আলমগীর এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা শাহ আলমগীর ২০১৩ সালের ৭ জুলাই পিআইবির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ সহ বেশকিছু সম্মাননা পেয়েছেন।

প্রায় ৪০ বছর সাংবাদিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শাহ আলমগীর। উপমহাদেশের প্রথম শিশু-কিশোর পত্রিকা সাপ্তাহিক কিশোর বাংলা পত্রিকায় ১৯৮০ সালে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি শুরু করেন। এরপর তিনি কাজ করেন দৈনিক জনতা, বাংলার বাণী, আজাদ ও সংবাদ পত্রিকায়। ১৯৯৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যুগ্ম বার্তা-সম্পাদক হিসেবে প্রথম আলোতে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি চ্যানেল আইয়ের প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর একুশে টেলিভিশনে হেড অব নিউজ, যমুনা টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে নানা সময়ে বার্তা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে হলেও বাবার চাকরি সূত্রে বৃহত্তর ময়মনসিংহে জীবনের দীর্ঘ একটি সময় কাটে তার। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক।

/ইউআই/টিটি/এসটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি