X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
১৯ আষাঢ় ১৪৩২

সীমান্ত খুলে না দিলে রোহিঙ্গারা নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হতো: গণপূর্তমন্ত্রী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ মে ২০১৯, ০২:১৫আপডেট : ২৮ মে ২০১৯, ০২:১৫

ইউএন-হ্যাবিটাট এসেম্বলির উদ্বোধনী অধিবেশনে গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বর গণহত্যার কথা বাংলাদেশ ভুলে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই দিনগুলির কথা সবসময় স্মরণ করেন। তাই যখন মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা শুরু করলো, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক অনুভূতি থেকে সীমান্ত খুলে দিলেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করতে দিলেন। আমরা সীমান্ত খুলে না দিলে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নির্মম হত্যাযজ্ঞের শিকার হতো।’
সোমবার (২৭ মে) কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ইউএন-হ্যাবিটাট এসেম্বলির প্রথম অধিবেশনের একটি সেশনে গণপূর্তমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন। এর আগে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইউএন-হ্যাবিটাট এসেম্বলির উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন। অধিবেশনটি উদ্বোধন করেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা একজন রাষ্ট্রনায়ক ও জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তার নিজস্ব অনুভূতি থেকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে শরণার্থী হিসেবে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছেন। তখন থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য সব সুবিধা দিয়ে আসছি। কিন্তু সীমিত সম্পদ ও সাধ্যের কারণে এখন এটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হচ্ছে।’
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে এসেছে, তাদের সহানুভূতি প্রকাশ করেছে। মাঝে মাঝে তারা কিছু সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে, কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য ‘পাঁচ দফা সমাধান’ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন, যেটি ছিল বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশমালা।’
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিয়ানমার সরকার এবং বাংলাদেশের একাধিক সভায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখনও একজন নাগরিককেও মিয়ানমার ফিরিয়ে নেয়নি। আমি আশা করি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আমাদের পাশে দাঁড়াবে। একটি দেশের সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে না। একটি নৃগোষ্ঠী নিধন করতে আধুনিক বিশ্বে গণহত্যা চলমান থাকতে পারে না।’
উল্লেখ্য, কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ২৭ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী ইউএন-হ্যাবিটাট এসেম্বলির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উক্ত অধিবেশনে বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।

/এসএস/এআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
হাসপাতালের বারান্দায় দুই প্রসূতির সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
পাবনায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
জাপার অফিস ভাঙচুর: নুরসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিতে বললেন আদালত
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!
বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলার হাতছানিও!