পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে নতুন করে পরিচালক মর্যাদার এক কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নতুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হলেন দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদ। বুধবার (১২ জুন) সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
ঘুষ লেনদেন ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই নিয়োগ দেওয়া হলো। গত ২৩ মে ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন এনামুল বাছির। আগের ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন আমলে নেয়নি দুদক।
প্রসঙ্গত, ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চালায় দুদক। গত মাসে ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। অনুসন্ধান করেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির। তার বিরুদ্ধে ডিআইজি মিজান অভিযোগ করেন, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে এনামুল বাছিরকে দু'দফায় ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন তিনি।
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুদক। আর ডিআইজি মিজানের ঘুষ দেওয়ার ঘটনা নজরে আসায় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে পুলিশ সদর দফতর।
আরও পড়ুন-
ডিআইজি মিজানের সম্পদ কত?
আগেও ৪০ মাস বরখাস্ত ছিলেন দুদক কর্মকর্তা বাছির
আমার কাছে সব রেকর্ড আছে: ডিআইজি মিজান
ঘুষের অডিও বানোয়াট: দুদক পরিচালক এনামুল বাছির