X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

সব ধরনের নৌযানের রুট পারমিট লাগবে

এমরান হোসাইন শেখ
২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:৩৫আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৫

নৌযান চলাচল (ফাইল ছবি)

পণ্যবাহী জাহাজ, ট্রলার, স্পিডবোটসহ সব ধরনের নৌযানকে রুট পারমিট নিতে হবে। এর জন্য সরকারকে দিতে হবে নির্দিষ্ট হারে ফি। রুট পারমিটের নির্ধারিত স্টেশন ছাড়া যাত্রী বা পণ্য ওঠানামা করলে সাজা পেতে হবে।

এমন সব বিধান অন্তর্ভুক্ত করে ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (নৌরুট পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া) বিধিমালা, ২০১৯’ জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। আগের বিধিমালা অনুযায়ী কেবল যাত্রীবাহী জাহাজের রুট পারমিট নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। এ ছাড়া, নতুন বিধিতে রুট অনুযায়ী কতটি নৌযান চলবে, সেই সংখ্যাও নির্ধারণ করে দেবে বিআইডব্লিউটিএ।

এ বিধিমালা সংশোধনের যৌক্তিকতার ব্যাপারে নৌ-মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, নৌ সেক্টরে দুর্ঘটনা কমানো ও শৃঙ্খলা আনতে বিধিমালায় নতুন কিছু বিধি-উপবিধি সংযোজন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৭০ সালে প্রণীত দি বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট (টাইম অ্যান্ড ফেয়ার টেবিল অ্যাপ্রুভাল) রুলস সংশোধন করে গত সপ্তাহে ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (নৌরুট পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া) বিধিমালা, ২০১৯ জারি করা হয়।

আগের বিধি অনুযায়ী কেবল যাত্রীবাহী জাহাজের (লঞ্চ) রুট পারমিট নিতে হতো। পণ্যবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড, স্পিডবোট, ট্রলারসহ ইঞ্জিনচালিত অন্য নৌযানের রুট পারমিট নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল না।

নতুন বিধিমালায় লঞ্চের পাশাপাশি সব ধরনের নৌযানকে রুট পারমিট নিতে হবে। বিধিমালার তফসিল-৩ সারাদেশের নৌপথকে ১৫টি অঞ্চলে ভাগ করেছে। নতুন বিধিমালার ৩৩ বিধি অনুযায়ী, কোন রুটে কতটি এবং কী ধরনের নৌযান চলবে—সেই সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে পারবে বিআইডব্লিউটিএ।

নতুন বিধিমালায় নৌযানকে একবছরের জন্য রুট পারমিট দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কার্গো ভেসেল, কোস্টাল ভেসেল, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টাল ট্যাংকার বা কনটেইনার জাহাজের রুট পারমিটের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। তবে সার্ভে (ফিটনেট) সনদের মেয়াদ শেষ হলে রুট পারমিটের কার্যকারিতা থাকবে না। এতে আবেদনের ৩০ দিনের মধ্যে রুট পারমিট দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আবেদন রুট পারমিট পাওয়ার যোগ্য না হলে তা সরাসরি নামঞ্জুর করে আবেদনকারীকে জানানোর কথা বলা হয়েছে।

নতুন বিধিমালায় যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজের আলাদা ভাড়া নির্ধারণ পদ্ধতিও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের জন্য কিলোমিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ এবং পণ্য পরিবহনের জন্য ধরন অনুযায়ী দূরত্বের ভিত্তিতে টনপ্রতি ভাড়া নির্ধারণ করে সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য জমা দেবে বিআইডব্লিউটিএ। এক্ষেত্রে নৌযানের মালিক সমিতি বা সংশ্লিষ্ট অন্য সংগঠনের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারবে। পরে ওই ভাড়া প্রস্তাব সরকার অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করবে।

বিধিমালায় ভাড়ার টিকিটের নমুনাও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া, বিভিন্ন উৎসব—ঈদ, পূজা, পার্বণ এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান—নৌবিহার, শিক্ষা সফর, পিকনিক, বিবাহ ইত্যাদি উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিএ বিশেষ নৌ-সার্ভিস চলার অনুমতি দিতে পারবে।

/এমএ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১৩ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে মরিয়া সহকর্মীরা
১৩ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে মরিয়া সহকর্মীরা
ফিরে দেখা: ৪ জুলাই ২০২৪
ফিরে দেখা: ৪ জুলাই ২০২৪
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
গ্রেনাডাতেও ওয়েবস্টার-ক্যারির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুলাই, ২০২৫)
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি