হলি আর্টিজান হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় কীভাবে আইএস’র টুপি এলো তা নিয়ে সমালোচনা তৈরি হয়েছে। আদালতে প্রথমে তাকে কালো টুপি পরা দেখা যায়, পরে এজলাস থেকে নিয়ে আসার সময় দেখা যায় তার মাথায় আইএস’র লোগো আঁকা টুপি। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
কীভাবে আসামির মাথায় এই টুপি এলো, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি তদন্ত করে দেখবো। এই প্রেস ব্রিফিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ খবর নেবো।’ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক হলি আর্টিজান মামলার রায় নিয়ে এই প্রেস ব্রিফিং করেন তিনি।
হলি আর্টিজান মামলার রায়ের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় কার্যকরে আগামী সাত দিনের মধ্যে ডেথ রেফারেন্সের পেপারবুক তৈরি করে হাইকোর্টে পাঠানো হবে। যে খালাস পেয়েছে তাকে কেন খালাস দেওয়া হলো তা বলতে পারি না। রায়ের কপি পেয়ে বলতে পারবো। ২১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেওয়া হয়, এই পরিমাণ সাক্ষ্যই পর্যাপ্ত মনে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রায়ের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছি, বাংলাদেশে যে কোনও অপরাধ সংগঠিত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার বিচার সম্পন্ন হয়।’
আগামীকাল এমপি লিটন হত্যা মামলার রায় হবে বলেও মন্ত্রী এসময় উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পেপারবুক তৈরি করে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
এদিকে আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় আইএস’র টুপি কীভাবে আসলো জানতে চাইলে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার জাফর হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নানা মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’
সরেজমিন দেখা যায়, রিগ্যানসহ অন্যান্য আসামিদের বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে আদালতের গারদে নেওয়া হয়। তখন রিগ্যানের মাথায় এই লোগোসহ টুপি ছিল না। রায় ঘোষণা শেষে অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে রিগ্যানও ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করে। আসামি রাজীব গান্ধী বলে, হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে তারা কোনও অন্যায় করেনি। তারা এজন্য বেহেশতে যাবে। এই দেশে একদিন খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে বলে চিৎকার করে বলতে থাকে সে।
আরও পড়ুন-
আইএস’র টুপি পরে আদালতে, রায়ের পর আল্লাহু আকবর ধ্বনি