X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
সাংবাদিক আরিফকে নির্যাতনের ঘটনায় দেশব্যাপী প্রতিবাদ

কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানাসহ জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
১৬ মার্চ ২০২০, ২১:০৬আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২০, ২৩:২৫

জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন এবং প্রহসনমূলক বিচারের ঘটনায় অব্যাহত প্রতিবাদ চলছে সারাদেশে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবারও (১৬ মার্চ) সচেতন নাগরিক, সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতা এবং সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তারা অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত কুড়িগ্রামের সদ্যবিদায়ী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীন, সিনিয়র সহকারী কমিশনার-রাজস্ব (আরডিসি) নাজিম উদ্দিন, দুই সহকারী কমিশনার (এসি) রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এসএম রাহাতুল ইসলামসহ জড়িতদের শুধু প্রত্যাহার নয়, ফৌজদারি মামলায় বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ, মানববন্ধন ও অন্যান্য কর্মসূচি সম্পর্কে বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্ট:       

রংপুর

বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে বাসার গেট ও দরজা ভেঙে আটক করে ডিসি অফিসে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে সোমবার রংপুর প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা। সমাবেশে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু কুমার চাকমাকে গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন– রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, ওয়ার্কাস পার্টির জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানী, বিএনপির রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদসহ বিশিষ্টজনরা। আরও বক্তব্য দেন– রংপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবু, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ বায়েজিদ আহমেদ, সিটি প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবীর মানিক, বৈশাখী টিভির আফতাব হোসেন, যমুনা টিভির মাযহারুল মান্নান, বাংলা ভিশনের জুয়েল আহমেদ, আরটিভির জাহাঙ্গীর হোসেন বাদল, মাহিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাবুল নাগ, পীরগাছা প্রেস ক্লাবের সভাপতি খোরশেদ আলম, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির ইসমাইল হোসেন রিফাত, টেলিভিশন ক্যামেরা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এহসানুল হক সুমন, ফটো জার্নালিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান রিপন, বাংলা ট্রিবিউনের লিয়াকত আলী বাদল প্রমুখ। মানববন্ধনে রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সব সাংবাদিকরা অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা সরকারের প্রতি দাবি জানান, শুধু প্রত্যাহার নয়, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু করতে হবে।

সাতক্ষীরা

বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামসহ সারাদেশে সাংবাদিক হয়রানি, নির্যাতন, গুম, হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের শহীদ স ম আলাউদ্দীন চত্বরে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ।

মানববন্ধনে বক্তারা কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের ওপর নির্যাতন, গ্রেফতার ও সাজা দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। এছাড়া অপহৃত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে দ্রুত খুঁজে বের করা এবং দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের নামে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও নিরাপত্তার দাবি জানান।

সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন– প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহিম, চ্যানেল আইয়ের আবুল কালাম আজাদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, দৈনিক সূর্যের আলোর সম্পাদক ওয়ারেশ খান চৌধুরী, দেশ টিভি ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, সংবাদ ও ইন্ডিপেন্ডেন্টের আবুল কাশেম, ভোরের কাগজের দিলীপ কুমার দেব, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, মানবজমিনের ইয়ারব হোসেন, মানবাধিকারকর্মী মানব চন্দ্র দত্ত প্রমুখ।

মানববন্ধনে অংশ নেন– সম্মিলিত সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল ওয়াজেদ কচি, লোকসমাজের শেখ মাসুদ হোসেন, বাংলা ভিশনের আসাদুজ্জামান আসাদ, ডিবিসি নিউজের এম জিল্লুর রহমান, পত্রদূতের এসএম শহিদুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের মোশারফ হোসেন, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনের আব্দুর গফুর, এসএ টিভির শাহিন গোলদার, আমাদের অর্থনীতির শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, দৈনিক বর্তমানের আব্দুস সামাদ, দৈনিক খবরের কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জী, বাংলা ট্রিবিউনের আসাদুজ্জামান সরদার, ঢাকা ডায়লগের আমিরুজ্জামান বাবু, মাই টিভির ফয়জুল করিম বাবু, চ্যানেল নাইনের কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জি, সিরাজুল ইসলাম, জাহিদ হোসাইন, সোহরাব হোসেন, শাহজাহান কবির, হেদায়েত হোসেন, সেলিম হোসেন, শাওন প্রমুখ।

মানববন্ধন নেত্রকোনা

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের ওপর নির্যাতন, হামলা ও মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়ায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দেশব্যাপী সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় নেত্রকোনায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিক সমাজ। জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

কুড়িগ্রামের ডিসি ও আরডিসিসহ জড়িতদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন– জেলা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান রঞ্জন, সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, সিনিয়র সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম মুখলেছুর রহমান খান, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খলিলুর রহমান শেখ ইকবাল, সম্পাদক লিটন ধর গুপ্ত, সাংবাদিক ও ছড়াকার সঞ্জয় সরকার, প্রথম আলো প্রতিনিধি পল্লব চক্রবর্তী, সাংবাদিক সুজাদুল ইসলাম ফারাস, বাংলা ট্রিবিউন প্রতিনিধি হানিফ উল্লাহ আকাশসহ কর্মরত সাংবাদিকরা।

এ সময় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, ‘ডিসিরা নিজেদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী মনে করেন না। তারা নিজেদের জমিদার মনে করেন। দেশের জনগণকে সম্মান না দিয়ে তারা নিজেদের ক্ষমতার অপ্যব্যবহার করেন। তাই কুড়িগ্রামের এই ডিসিকে এমন শাস্তির আওতায় আনতে হবে যাতে কোনও আমলা এমন ধৃষ্টতা আর না দেখায়।’

প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘মুজিববর্ষে এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। সাংবাদিকরাও দেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রক্ত দিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাই এই মুজিববর্ষে জাতির বিবেক সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’ তিনি ডিসির স্থায়ী চাকরিচ্যুতির দাবি জানান।

বাগেরহাট   

কুড়িগ্রামে বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামসহ সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।   

বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি এমডি মোজাফ্ফর হোসেনের সভাপত্বিতে প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন– প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকী (ভোরের কাগজ), সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এবিএম মোশাররফ হোসাইন (নিউ নেশন), শেখ আহসানুল করিম (বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ২৪), মো. দেলোয়ার হোসেন ( সমকাল), মো. ইয়ামিন আলী (যমুনা টিভি ও আলোকিত বাংলাদেশ),  আলী আকবর টুটুল (সময় টিভি ও বণিক বার্তা), এসএম সামছুর রহমান ( ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউন),  সৈয়দ শওকত হোসেন ( ভোরের দর্পন)।

এ সময় বক্তারা ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রামের প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন ও সাজা দেওয়ায় কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীনসহ স্থানীয় জেলা প্রশাসনের জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মেহেরপুর প্রতিনিধি মাহবুবুল হক পোয়েলকে নির্যাতন ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং ঢাকায় নিখোঁজ ফটো সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম কাজলকে খুঁজে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সরকারের কাছে দাবি জানান। তারা এসব ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তিসহ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন।

প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার (জনকণ্ঠ) ও আহাদ উদ্দীন হায়দার, সহ-সম্পাদক শেখ আজমল হোসেন (সম্পাদক, পল্লীবাংলা), শওকত আলী আশরাফী ( মাছরাঙ্গা টিভি ও যুগান্তর), তরফদার রবিউল ইসলাম (এনটিভি ও নয়া দিগন্ত), আজাদুল হক (দৈনিক সংবাদ), খন্দকার আকমল উদ্দীন সাকী (বৈশাখী টিভি), অলিপ ঘটক ( ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি ও বিডি নিউজ), এসএম রাজ ( পিটিবি নিউজ), সরদার ইনজামামুল হক (প্রথম আলো), হেদায়েত হোসেন লিটন (দিনকাল), মোল্লা আব্দুর রব ( দৈনিক জন্মভূমি), এসএস সোহাস (বাংলা নিউজ), আব্দুল্লাহ আল ইমরান (মানবকণ্ঠ), এইচএম মইনুল ইসলাম (সম্পাদক, সিডর) আল-আমিন খান সুমন (আজকালের খবর), সোহরাপ হোসেন রতন (দৈনিক নোয়াপাড়া), মামুন আহম্মেদ (প্রতিদিনের সংবাদ), শেখ আবু সাঈদ (সম্পাদক- খানজাহান), অরিন্দম দেবনাথ (গ্রামের কাগজ), মাহফুজুর রহমান ( আনন্দ টিভি), রাকিবুল ইসলাম রাজ (আমাদের নতুন সময়), সাংবাদিক সোহাগ হাওলাদার, সেকেন্দার মোড়ল, নকীব মিজানুর রহমান, আরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আরিফ ঢালী, চন্দন দেবনাথ, তানজিম হোসেন, রক্তদানকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোর পথের প্রতিষ্ঠাতা আবুবকর সিদ্দিক প্রমুখ।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় জেলা সদরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অংশ নেন।

শরণখোলা

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং নির্যাতনকারী ডিসি সুলতানা পারভীনসহ তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শরণখোলার সাংবাদিকরা। শরণখোলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সোমবার সকাল ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শুধু প্রত্যাহার নয়, ডিসি সুলতানা পারভীনের বিচারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন– শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ মোহাম্মদ আলী, বাবুল দাস, আ. মালেক রেজা, শ্রমিকলীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন খোকন, কৃষক লীগের সভাপতি ওয়াদুদ আকন, সমাজ সেবক মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজু সর্দার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান তেনজিন, শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম মিরাজ প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদল ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিসহ সারাদেশে সাংবাদিক গুম-নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা হাতে হাত ধরে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. আরজু বলেন, ‘কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলা ট্রিবিউনের আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন করে তাকে এক বছরের সাজা দেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওয়তায় এনে চাকরিচ্যুত করে কঠোর বিচার করতে হবে।’

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক ও দৈনিক সমকালের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুর নূর বলেন, ‘সরকারের কাছে দাবি জানাই সুলতানা পারভীনের শুধু প্রত্যাহার নয়, আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের ওপর হামলার জন্য তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।’ সেই সঙ্গে মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানানো হয়।

জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘আরিফকে ৪০ জনের একটি বাহিনী দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে হাত-মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এমন ঘটনা নজিরবিহীন। তাকে মাদক দিয়ে চালান করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’ পাশাপাশি সারাদেশে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেকট্রনিক্স জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওয়তায় এনে চাকরিচ্যুত করে কঠোর বিচার দাবি জানান।

মানববন্ধনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন– প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, প্রেস ক্লাবের সাবেক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফম কাউছার এমরান, সাদেকুর রহমান, সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আব্দুন নুর, সরাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান খাদেম প্রমুখ।  মানববন্ধন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

জয়পুরহাট

ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে গভীর রাতে দরজা ভেঙে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন, ক্রসফায়ারের হুমকি এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জয়পুরহাটের সাংবাদিকরা।

সোমবার সকাল ১০টায় শহরের পাঁচুরমোড়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালনকালে বক্তব্য রাখেন– জয়পুরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান রনি, বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি আলমগীর চৌধুরী, এনটিভির জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান সিরাজ মিঠু, প্রথম আলোর রবিউল ইসলাম, একুশে টেলিভিশনের শফিকুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি শামিম কাদিরসহ অন্যরা।

বক্তারা সাংবাদিক আরিফকে নির্যাতনকারী কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাসহ বরখাস্তের দাবি করেন। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানাসহ জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি খাগড়াছড়ি

কুড়িগ্রামে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের ওপর জেলা প্রশাসকের মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিক সমাজ। সোমবার (১৬ মার্চ) সকালে জেলা সদরের শাপলাচত্বরে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়।

খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, সিনিয়র সাংবাদিক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য ও বাংলা ট্রিবিউনের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন মজুমদারসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রেস ক্লাবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে শুধুমাত্র প্রত্যাহার করে আড়াল করলে হবে না। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সুলতানা পারভীনসহ জড়িত সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

নওগাঁ

সাংবাদিক আরিফের ওপর নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন নওগাঁর সাংবাদিকরা। সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রেস ক্লাবের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন– জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবির উদ্দিন, সাংবাদিক সাদেকুল ইসলাম, এম আর রকি, ইমদাদুল হক সুমন, মাহমুদুন নবী বেলাল, মোফাজ্জল হোসেন, আব্দুর রউফ পাভেল প্রমুখ।

বক্তারা কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ও আরডিসি নাজিম উদ্দিনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নরসিংদী

সাংবাদিক আরিফকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন নরসিংদীর সাংবাদিক সমাজ। সোমবার সকালে নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে এ প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।

‘নরসিংদীর সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজ’ ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেন। এ সময় আরিফের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন– দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি মো. নুরুল ইসলাম, আরটিভির প্রতিনিধি মোর্শেদ শাহরিয়ার, মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিনিধি বদরুল আমিন চৌধুরী, সাপ্তাহিক আজকের চেতনার সম্পাদক এবিএম আজরাফ টিপু, দৈনিক মুক্তচিন্তার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুর রহমান, বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান রিপন, চ্যানেল ২৪ এর সঞ্জিত সাহা,সময় টিভির আশিকুর রহমান পিয়াল, যমুনা টিভির আইয়ুব খান সরকার, দৈনিক কালের কণ্ঠের মনিরুজ্জামান মনির, দৈনিক প্রথম আলোর প্রণব কুমার দেবনাথ, চ্যানেল আইয়ের সুমন রায়, ডিবিসি নিউজের তোফায়েল আহমেদ স্বপন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম নরসিংদী জেলা শাখার মোশারফ হোসেন নীলু, মাধবদী থানা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আল আমিন সরকার, রায়পুরা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মেহেদী হাসান রিপন প্রমুখ।

রাঙামাটি

আরিফুল ইসলামকে নির্যাতনকারী ডিসিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির দাবি, নিখোঁজ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কালজকে উদ্ধার এবং সারাদেশে অব্যাহত সাংবাদিক খুন, গুম, অপহরণ, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক গিরি দর্পনের সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন– প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শামসুল আলম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উল হকসহ রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকরা। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন– রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরামের সহ-সভাপতি মনছুর আহমদ (মান্না), দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম পত্রিকার সম্পাদক ফজলে এলাহী, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমাসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সবার ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি কোনও সাংবাদিক অন্যায় কিছু করে থাকে তবে প্রচলিত আইনে বিচার হতে পারে। কিন্তু রাতের আঁধারে যেভাবে মোবাইল কোর্টের নামে সাজা দেওয়া হয়েছে তাতে জনমনে মোবাইল কোর্ট নিয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছে। যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পরিপন্থী।’ এ সময় নিখোঁজ শফিকুল ইসলাম কালজকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের দাবিও জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সিরাজগঞ্জ

বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফকে নির্যাতন, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা এবং ফটো সাংবাদিক কাজলের নিখোঁজের ঘটনায় সিরাজগঞ্জে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ কালেক্টরেট চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফিরোজ মাহমুদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সাংবাদিক নেতারাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।

এর আগে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে সকালে প্রেস ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাংবাদিক বাবু ইসলাম, ফেরদৌস রবিন, হারুন-অর-রশিদ খান হাসান, হেলাল আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, এসএম তোফিজ উদ্দিন, হীরক গুণ, সুকান্ত সেন, ইসমাইল হোসেন বাবু, জহুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, নওশাদ আহমেদ, আমিনুল ইসলাম রানা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা কুড়িগ্রাম জেলার বিতর্কিত ডিসি এবং আরডিসিসহ অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রজুর মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। সেই সঙ্গে দেশের গণমাধ্যমকর্মীদের হামলা-মামলা, নির্যাতন ও গুমের ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি করেন।

ঠাকুরগাঁও

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতনের প্রতিবাদ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টায় জেলা শহরের চৌরাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করেন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি জাকির মোস্তাফিজ মিলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন– প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তোরাব মানিক, একুশে টিভির প্রতিনিধি জসিম উদ্দীন, সময় টেলিভিশনের প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান বকুল, জিটিভির প্রতিনিধি এমদাদ হোসেন ভুট্টু, সাংবাদিক ফজলে ইমাম বুলবুল, বাংলা ভিশন প্রতিনিধি খোদা বক্শ ডাবলু, সমকাল ও দীপ্ত টিভির সামসুজ্জোহা, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রোড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আব্দুল করিম, সাবেক ক্রীড়া অফিসার আবু মহিউদ্দীন, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি মাসুদ আহমেদ সুবর্ণসহ জেলার গণমাধ্যমকর্মীরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেভাবে আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন করা হয়েছে তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে অপসারিত ডিসি সুলতানা পারভীন ও নাজিম উদ্দিনসহ অভিযুক্তদের ফৌজদারি আইনে গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’ সেই সঙ্গে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন নেতারা। 

নীলফামারী

বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুর ইসলামকে মারধর এবং মধ্যরাতে মোবাইল কোর্টের নামে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে নীলফামারীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। সোমবার দুপুরে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি তাহমিন হক ববি।

মানববন্ধনে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে দুই ম্যাজিস্ট্রেটের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, ‘ভয়ভীতি মারধর ও আইনের অপপ্রয়োগ করে গণমাধ্যমকর্মীদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।’

নীলফামারী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুশফিকুল ইসলাম রিন্টু মানববন্ধনে একত্বতা প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরাই তাদের পেশাগত দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কুড়িগ্রামের আরিফুল ইসলামকে ডিসির হাতে লাঞ্চিত হতে হয়েছে। এটা বড়ই দুঃখজনক ঘটনা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন– হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি খোকারাম রায়, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্রীদাম দাস, ঠিকাদার মিজানুর রহমান, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, কালের কণ্ঠের ভুবন রায় নিখিল, জেলা পরিষদ সদস্য ও বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিনিধি ইশরাত জাহান পল্লবী, আরটিভির জেলা প্রতিনিধি হাসান রাব্বী প্রধান, এটিএন নিউজের মিল্লাদুর রহমান মামুন, একাত্তর টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি বিজয় চক্রবর্তী কাজল, দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি নুর আলম, দৈনিক ইত্তেফাক কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি শামিম হোসেন বাবু, জেলা শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল বারী, খোলা কাগজের প্রতিনিধি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

এদিকে, জেলার ডিমলা উপজেলা প্রেস ক্লাবের ব্যানারে স্থানীয় শহীদ স্মৃতি অম্লাণ চত্বরে সকাল ১১টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন– প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম লিটন ও দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিনিধি আব্দুল মোতালেবসহ  সাংবাদিকরা। এ ছাড়াও জেলা সদর, ডোমার, ডিমলা, কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর ও জলঢাকায় একই সঙ্গে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানাসহ জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি মৌলভীবাজার
কুড়গ্রামের আরিফসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নিখোঁজ সাংবাদিককে খুঁজে বের করা ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে শহরে মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে স্থানীয় প্রেস ক্লাব থেকে জাতীয় দৈনিকের গণমাধ্যমকর্মীরা মৌন মিছিল বের করেন। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমূহনা চত্বরে এসে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার  মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ ছায়েদ আহমদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন– শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এম ইদ্রিস আলী, স্থানীয় দৈনিক খোলাচিঠি প্রত্রিকার সম্পাদক সরফরাজ আলী বাবুল, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি মামুন আহমদ, দৈনিক নয়া দিগন্তের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এ রকিব, সাংবাদিক কাওছার ইকবাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, দৈনিক ইত্তেফাকের অনুজ কান্তি দাস, ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের আনোয়ার হোসেন জসিম, দিনকাল প্রতিনিধি রুবেল আহমদ, করতোয়ার আব্দুস শুকুর, দেশ রূপান্তরের সুমন মিয়া, আমাদের সময়ের অরবিন্দু দেব, আনন্দ টিভির তোফায়েল আহমদ পাপ্পু প্রমুখ।

খুলনা

বাংলা ট্রিবিউন ও ঢাকা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে মধ্যরাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার, নির্যাতন ও সাজা দেওয়ার ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে ) নেতারা।

এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আরিফুল ইসলামকে মধ্যরাতে আটক করার পর এক বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো শুধু নিন্দনীয়ই নয়, অত্যন্ত পীড়াদায়ক।’ বিবৃতিদাতারা হলেন, সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সহ-সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর ও মহেন্দ্র নাথ সেন, সাধারণ সম্পাদক ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাট, যুগ্ম সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দফতর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স ও বিমল সাহা। একইরকম বিবৃতি দিয়েছেন বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এসএম ফরিদ রানা।

হবিগঞ্জ

সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ, মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে হবিগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন। সোমবার বিকালে হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন– হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাসেল চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবু ছালেহ মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি প্রদীপ দাশ সাগর, হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এমদাদুল হক সোহেল, সাবেক সভাপতি শাকিল চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম কুহিনুর, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম জীবন, হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সদস্য নূরুল হক কবির, মজিুবর রহমান, মিরপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দিদার এলাহি সাজু, সাংবাদিক কাজল সরকার, জাকারিয়া চৌধুরী, রহমত আলী, মশিউর রহমান, আব্দুল কাদির, মিজানুর রহমান, সাইফুর রহমান তারেক, একে কাউছার প্রমুখ।

ঝালকাঠি

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচির ঝালকাঠি জেলা শাখার সমাবেশে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেছেন, ‘সাংবাদিক আরিফের জামিন আর লোক দেখানো ডিসি প্রত্যাহার কোনও বিচার নয়। কুড়িগ্রামের ডিসি সুলতানা পারভীন, সহযোগী আরডিসি নাজিম উদ্দিনসহ জড়িত পুরো টিমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় বিচার দ্রুত আইনে সম্পন্ন করতে হবে।’

বিএমএসএফ জেলা সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চুর সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি আজমীর তালুকদার।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন– বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী, নারী নেত্রী ডালিয়া নাসরিন, ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, বিএমএসএফের রাজাপুর শাখার সভাপতি আহসান হাবিব সোহাগ, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ।

সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করেন ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের যুগ্ম-সম্পাদক সরওয়ার হোসেন স্বপন ও প্রেসক্লাব সদস্য আলী হায়দার তালুকদার, মিডিয়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।

ময়মনসিংহ

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে নির্যাতন ও কারাদণ্ডের প্রতিবাদ, দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের নামে ডিজিটাল আইনের মামলা প্রত্যাহার এবং নিখোঁজ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধানের দাবিতে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহ-জেইউএম।

সোমবার সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন– সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সভাপতি আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মতিউল আলম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের জেলা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজীব আশরাফ, সাপ্তাহিক আমাদের ময়মনসিংহের সম্পাদক কামরুল আহসান ও ময়মনসিংহ লাইভের সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।

এ সময় সিরাজুল হক সরকার (জনতা), সাজ্জাতুল ইসলাম (নয়াদিগন্ত), রাসেল হোসেন (ময়মনসিংহ প্রতিদিন ডটকম), সাইফুল ইসলাম তরফদার (জনবাণী),  প্রদীপ বিশ্বাস (সকালের সময়), ইমরান কবীর (সংগ্রাম), হাসনাতুল ইসলাম মিল্লাত (আজকের খবর), দেলোয়ার হোসেন (বাংলার নেত্র), রাশিদ আহামেদ (জাহান), জয়নাল আবেদীন (ঢাকা টাইমস), নজরুল ইসলাম জুয়েল (বাংলার সময়), অজয় সরকার (দেশকাল), এনামুল হক ছোটন (বর্তমান কথা), মফিদুল ইসলাম লাভলু (আজকের বসুন্ধরা), ফকরুল আকন্দসহ (মানবজমিন) ময়মনসিংহে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহ

সোমবার বেলা ১টায় হালুয়াঘাট প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন– প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক বাবুল হোসেন, সাংবাদিক হাতেম আলী, সাইফ জামান, আব্দুর রাজ্জাক, ওমর ফারুক সুমন, সাইদুর রহমান রাজু, মাজহারুল ইসলাম মিশু, দেওয়ান নাঈম, রফিকুল্লাহ্ চৌধুরী মানিক প্রমুখ। এ সময় বক্তারা কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভিনের শাস্তি ও সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। এ কর্মসূচিতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

শেরপুর

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচিতে প্রেস ক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, প্রবীণ সাংবাদিক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন,  জি এম বাবুল, কাকন রেজা, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, শাহরিয়ার মিল্টন, রফিক মজিদসহ জেলার বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক ও সুশীল সমাজের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা দ্রুত এ ঘটনায় জড়িতদেরসহ দেশের সব সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার শাস্তি দাবি করেন।

লালমনিরহাট

সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় জড়িত কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ও তার সহযোগীদের চাকরিচ্যুত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন লালমনিরহাটে কর্মরত সাংবাদিকরা। সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে নির্যাতিত সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তারা।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘ডিসি সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দীনসহ জড়িতরা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এজন্য তাদের শুধু প্রত্যাহার নয়, চাকরিচ্যুত করতে হবে।’

কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন– এনটিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার একেএম মঈনুল হক, কালীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক শেখ আবদুল আলিম, যুমনা টিভির আনিছুর রহমান লাডলা, এনটিভি ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি হায়দার আলী বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক তিতাস আলম, ডিবিসি নিউজের মাজেদ মাসুদ, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকণ্ঠের আসাদুজ্জামান সাজু, বার্তা২৪.কমের নিয়াজ আহমেদ সিপন, আলোকিত বাংলাদেশের ফারুক হোসেনসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

মৌলভীবাজার

সম্প্রতি কুড়িগ্রামের আরিফুল ইসলামসহ দেশের বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নিখোঁজ সাংবাদিককে রাষ্ট্র খুঁজে বের করা, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে শহরে মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাব থেকে জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা মৌন মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌমূহনা চত্বরে এসে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেস ক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ ছায়েদ আহমদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন– শ্রীমঙ্গল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এম ইদ্রিস আলী, স্থানীয় দৈনিক খোলাচিঠির সম্পাদক সরফরাজ আলী বাবুল, বাংলাদেশ বেতারের প্রতিনিধি মামুন আহমদ, দৈনিক নয়া দিগন্তের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি এ রকিব, সাংবাদিক কাওছার ইকবাল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি দিপংকর ভট্টাচার্য লিটন, দৈনিক ইত্তেফাকের অনুজ কান্তি দাস, ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউনের জেলা প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের আনোয়ার হোসেন জসিম, দিনকাল প্রতিনিধি রুবেল আহমদ, করতোয়ার আব্দুস শুকুর, দেশ রূপান্তরের সুমন মিয়া, আমাদের সময়ের অরবিন্দু দেব, আনন্দ টিভির তোফায়েল আহমদ পাপ্পু প্রমুখ।

 

 

 

 

 

 

  

 

 

 

 

 

 

 

 

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত