X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১
ফিরে দেখা ১৭ আগস্ট

হামলার জন্য যেভাবে সংগঠিত হয়েছিল জেএমবি

নুরুজ্জামান লাবু
১৭ আগস্ট ২০২০, ১২:০০আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২০, ১২:৪৭

জেএমবি

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট একযোগে সারাদেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ১৫ বছর পূর্তি আজ। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ঘটনা। ওই হামলায় দুই জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছিলেন। হামলার পাশাপাশি জেএমবি একটি প্রচারপত্রও (লিফলেট) ছড়িয়ে দিয়েছিল সেদিন। সেখানে তারা শরিয়া বা আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ করে। এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।  নানামুখী চাপের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও শুরু করে সাঁড়াশি অভিযান। একে একে গ্রেফতার করা হয় জেএমবির শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সারাদেশে একযোগে হামলার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল জেএমবির নেতাকর্মীরা? আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে আগাম কোনও তথ্য ছিল না কেন? কিংবা জঙ্গিবাদ নিয়ে তৎকালীন সরকারের ভূমিকাই বা কেমন ছিল?

জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জঙ্গিবাদ নিয়ে তৎকালীন সরকারের একটি ডিনায়াল বা অস্বীকার করার একটা মনোভাব ছিল। বরং রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কেউ কেউ জঙ্গিবাদকে ‘পেট্রোনাইজড’ করেছেন। তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও ছিল গা-ছাড়া ভাব। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই মূলত সারাদেশে একযোগে হামলার পরিকল্পনা করেছিল জেএমবি বা জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ। সেই পরিকল্পনা তারা সফলভাবে বাস্তবায়নও করে।

জঙ্গিবাদ দমনে গঠিত পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০০৪-০৫ সালে জঙ্গিরা অনেক বেশি সংগঠিত ছিল। এপর্যন্ত দেশে যত বোমা হামলা হয়েছে, তার মধ্যে জঙ্গিদের সফলতম বোমা হামলা হলো ১৭ আগস্টে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা। জঙ্গিদের ভাষায়, ওই হামলায় তেমন হতাহত না হলেও সারাদেশে তথা গোটা দুনিয়ায় নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি সফলভাবে জানান দিতে পেরেছে।’

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৫ সালে যখন ওই হামলাটি হয়, তখন জেএমবির অনেক শক্তি-সামর্থ্য ছিল। এখন জঙ্গিরা আগের চেয়ে কৌশলী হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সামর্থ্য কয়েক গুণ বেড়েছে। ইকুইপমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদির দিক থেকেও শক্তি অর্জন করেছে পুলিশ। তখন জঙ্গিদের পরাস্ত করা যায়নি কেন তা আসলে সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। এখন আমরা জঙ্গিবাদের বিষয়ে শূন্য সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে কাজ করছি।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেএমবির বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের নথিপত্র ও জবানবন্দি থেকে জানা গেছে, মূলত ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে গঠিত হয় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ-জেএমবি। ২০০৬ সালের ২ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা আমির শায়খ আবদুর রহমান। গ্রেফতারের পর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘১৯৯৮ সালের এপ্রিলে আমি, খালেদ সাইফুল্লাহ, হাফেজ মাহমুদ, সালাউদ্দিন, নাসরুল্লাহ, শাহেদ বিন হাফিজ ও রানাকে শুরা সদস্য নির্বাচন করে জেএমবি গঠন করি। বাংলাদেশকে মোট ছয়টি প্রশাসনিক বিভাগে ভাগ করে কার্যক্রম শুরু করি। প্রথম দিকে দাওয়াতের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। পরে দাওয়াত ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে দুই দফায় সংগঠনের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।’

শায়খ আবদুর রহমান স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, ‘জেএমবি গঠনের পর থেকে মূলত আমি সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের ওপর মনোনিবেশ করি। ...শুরা সদস্যরা দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা তথা বৃহত্তর রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলায় গমন করে বিভিন্ন মসজিদ এবং মাদ্রাসায় জিহাদভিত্তিক আলোচনা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। শুরা সদস্যরা দাওয়াত প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী সংগ্রহ করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে থাকেন। উত্তরাঞ্চলে কর্মী সংগ্রহ আশানুরূপ হওয়ার পর সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় শুরা সদস্যদের সংগঠন সম্প্রসারণের দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করি।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দুই বছর দাওয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে কর্মী সংগ্রহ করে জেএমবি। এরপর তারা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। ২০০০ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন-আরএসও’র ক্যাম্পে জেএমবি’র কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২০০১ সালে টাঙ্গাইলে বোমা তৈরির ওপরে আরেকটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরই জেএমবির শুরা কমিটি নতুন করে গঠিত হয়। শাহেদ বিন হাফিজ ও রানা জেএমবি ছেড়ে দেয়। ওই সময় শুরা সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আসাদুজ্জামান হাজারী, আতাউর রহমান সানি, আব্দুল আউয়াল, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইকে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জেএমবি প্রথম নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে ২০০১ সালে। ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার একটি সিনেমা হলে বোমা হামলা করে তারা। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০০২ সালের ১ মে নাটোরের একটি সিনেমা হলে এবং একই বছরের ৭ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হলে একযোগে বোমা হামলা করে। কিন্তু তৎকালীন সরকার জঙ্গি হামলাগুলোকে রাজনৈতিক প্রলেপ মাখিয়ে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করে। এই সুযোগে দেশজুড়ে জেএমবি বিস্তার লাভ করে। এমনকি উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এনজিওতে ডাকাতির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে বেড়ায়। ২০০৪ সালে রাজশাহীর বাগমারা, নওগাঁর আত্রাই ও রানীনগর এলাকায় চরমপন্থী নিধনের নামে জেএমবির অন্যতম শুরা সদস্য সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই ব্যপক তাণ্ডব চালায়। তখন জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ-জেএমজেবি নামে নিজেদের পরিচয় দিতো। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরাও সেসময় তাদের প্যাট্রোনাইজড করেছে বলে একাধিক শীর্ষ জঙ্গি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছে।

জঙ্গিবাদ বিশেষজ্ঞ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, ‘জঙ্গিবাদের মূল একটি জায়গা হলো পৃষ্ঠপোষকতা। আমরা যদি এখনকার পরিবেশের সঙ্গে তখনকার পরিবেশকে তুলনা করি, তাহলে দেখা যাবে যে, জঙ্গিরা তখন যেভাবে তাদের কর্মকাণ্ড করতে পেরেছে, চলাচল করতে পেরেছে, যেটাকে আমরা ইংরেজিতে বলি ‘ফ্রিডম অব অ্যাকশন’, সেটি পায় যদি নিরাপত্তা বাহিনী নির্লিপ্ত থাকে। তখনকার দিনের যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে বা তাদের (জঙ্গিদের) মুখ দিয়েই বেরিয়ে এসেছে যে, তারা অনেক ফ্রিডম অব অ্যাকশন ভোগ করেছে। যার ফলে তারা এসব পরিকল্পনা, বোমা বহন, বোমা তৈরি এগুলো কোনও ধরনের ব্যত্যয় বা বিঘ্নতা ছাড়া খুব ভালোভাবে করতে সক্ষম হয়েছে।’

এখন সেই পরিবেশ নেই জানিয়ে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন রাষ্ট্রীয় যে পলিসি, আমরা দেখতে পাচ্ছি, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা  নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীও ‘শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করেছে। জঙ্গিরা এখন কোনও পরিকল্পনা বা মুভমেন্ট করলেই নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে চলে আসে। তখন এটি নজরে আসলেও তারা নির্লিপ্ত ছিল। এমনকি জঙ্গিদের স্টেটমেন্টেও বেরিয়ে এসেছে জঙ্গিরা তখন এক স্থান থেকে আরেক স্থানে ‘ফ্ল্যাগকার’-এ করে গিয়েছে। এগুলো মানেই তো পৃষ্ঠপোষকতা, এক ধরনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল তখন।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও বলছেন, তখনকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সরকারের মনোভাব বুঝতে পেরে জঙ্গিবাদ ইস্যুতে গুরুত্ব দেয়নি। ফলে জেএমবি খুব সহজেই নিজেদের শক্তিশালীভাবে সংগঠিত করতে পেরেছে। ২০০৪ সালে বাগমারায় বাংলা ভাইয়ের কর্মকাণ্ডের কারণে সমালোচনা শুরু হলে প্রথম দিকে ‘বাংলা ভাই’ মিডিয়ার সৃষ্টি বলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পরের বছর অর্থাৎ ২০০৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জেএমবি ও জেএমজেবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারপরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা না থাকায় বোমা তৈরি করে, সেসব বোমা এক জেলা থেকে আরেক জেলায় সরবরাহ করে সিরিজ হামলা করতে সক্ষম হয়েছিল জঙ্গিরা।

জেএমবির এখন কী অবস্থা?

সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা বলছেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার পর কিছুটা নড়েচড়ে বসে তৎকালীন সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নানামুখী চাপের কারণে জেএমবির নেতাদের ধরপাকড় শুরু হয়। ২০০৬ সালের প্রথম দিকে জেএমবির আমির শায়খ আব্দুর রহমানসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের পর বিচারের মুখোমুখি করা হয়। ২০০৭ সালের ৩ মার্চ তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শীর্ষ ছয় জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরের পর জেএমবির একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হলেও পরবর্তীতে মাওলানা সাইদুর রহমান আমির নির্বাচিত হয়ে নতুন করে জেএমবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ২০১০ সালে তাকেও গ্রেফতার করা হলে জেএমবির কর্মকাণ্ড কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা করে তিন জঙ্গিকে ছিনতাই করে নেওয়ার ঘটনার মধ্যদিয়ে জেএমবি আবারও তাদের অবস্থান জানান দেয়। যদিও সেসময় তিন জঙ্গির মধ্যে হাফেজ মাহমুদ নামে এক জঙ্গি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। বাকি দুই জঙ্গি বোমা মিজান ও সালাউদ্দিন সালেহিন পালিয়ে ভারতে চলে যায়। পলাতক থাকা অবস্থাতেই তারা জেএমবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করে আসছিল। ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় বোমা মিজান। বর্তমানে সালাউদ্দিন জেএমবির আমির হিসেবে নিষিদ্ধ এই সংগঠনটিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে।

সিটিটিসির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘জেএমবি এখন আর আগের মতো অবস্থানে নেই। তাদের একটি অংশ নিজেদের ‘নব্য জেএমবি’ হিসেবে আইএসের অনুসারী হয়ে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমরা তাদের শীর্ষ নেতাকর্মীসহ অনেককেই গ্রেফতার ও অভিযান চালিয়ে নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছি। সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে পুরনো জেএমবি একটু-আধটু সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আমরা নিয়মিত গোয়েন্দা নজরদারি করায় তাদের পুরনো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

/এপিএইচ/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
লাপাতা লেডিস: বিস্ময় জাগানো কে এই তরুণ
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রেখে পুরস্কার পেলো সানশাইন ব্রিকস
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রেখে পুরস্কার পেলো সানশাইন ব্রিকস
তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে ইউক্রেনের প্রতি ইতালির আহ্বান
পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে ইউক্রেনের প্রতি ইতালির আহ্বান
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?