করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কী ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন ও নির্বাচনী পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে তা নিয়ে কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক অনলাইন বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব তথ্য দেন। বৈঠকের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় অনলাইন বৈঠকে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করার অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের বিষয়েও কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদেরকে উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন অধীন দফতর সংস্থার কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
বৈঠকে বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা না নিয়ে মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শেকে পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে না নেওয়ার পরিকল্পনা নেয় সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে মূল্যায়নের ভিত্তিতে। প্রাথমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি কী হবে তার একটি গাইডলাইন করতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) তিনটি বিকল্প পাঠ পরিকল্পনা করতে বলা হয়।