শাহজালাল আন্তার্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। গত ৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
এর ঠিক এক মাস আগে ৮ মার্চ তিনি এক চিঠিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে তিনি বলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওইদিনই সরাসরি ঢাকা-লন্ডন কার্গো সার্ভিসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্রিটেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেডলাইনকে এর নিরাপত্তা তদারকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সঠিক পথে আছে।’
বিমানের ঢাকা-লন্ডন সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ফ্লাইট বন্ধের আর কোনও আশঙ্কা নেই।’
আরও পড়ুন: যে কারণে কোথাও নেই মায়া
ডেভিড ক্যামেরুন তার আগের চিঠিতে জানিয়েছিলেন, ৩১ মার্চের মধ্যে অবস্থার উন্নতির জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার দৃশ্যমান বাস্তবায়ন হলে পরবর্তী কোনও পদক্ষেপ যেমন- বিমানের ঢাকা-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
এরপর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য গত ২৩ মার্চ সরকার ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান রেডলাইনের সঙ্গে চুক্তি করে।
কার্গো পাঠানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে কি না- সে বিষয়ে মেনন বলেন, ‘আগামী ২৯ এপ্রিল স্বাধীন ভেলিডেটর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার সাপেক্ষে এটি প্রত্যাহার করা হবে।’
এর আগে মার্চের ১৩ তারিখ স্বাধীন ভেলিডেটর বিমানবন্দর পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য একাধিক সুপারিশ ছিল।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নারীদের অংশ না নেওয়ার পরামর্শ হেফাজতের
/এজে/