সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো সরকার। রবিবার মধ্যরাত থেকে কমানো দাম কার্যকর হবে।
রবিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অকটেন ও পেট্রোল প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটারে তিন টাকা করে কমানো হয়েছে।
এখন প্রতি লিটার ডিজেল ৬৫ টাকা, কেরোসিন ৬৫ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রোল ৮৬ টাকায় পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক বাজারের বর্তমান দাম (অপরিশোধিত প্রতি ব্যারেল বা ১৫৯ লিটার) অনুযায়ী প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েল বিপিসি কিনছে ৩০ টাকায়, অকটেন ৫৫ টাকায় ও পেট্রোল ৫০ টাকায়। ডিজেল আর কেরোসিন কিনছে ৩৮ টাকায়। কিন্তু দেশের বাজারে বিপিসি বিক্রি করছে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯, পেট্রোল ৯৬, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায়।
কম দামে কিনে দেশে বেশি দামে বিক্রি করায় গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বিপিসি ৫ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। আর চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ৭ হাজার কোটি টাকা লাভের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যেই অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। যার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হয়। এ তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পরিবহন খাতে, ৪৫ শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে ২৫ শতাংশ, কৃষি খাতে ১৯ শতাংশ, শিল্প খাতে ৪ শতাংশ এবং গৃহস্থালী ও অন্যান্য খাতে ৭ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ২০১৪ সালের জুন থেকে। কিন্তু দেশে এখন পর্যন্ত দাম না কমানোয় গত দুই বছর ধরে লাভ করছে বিপিসি।
গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এর ২৩ দিন পর অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমানো হলো।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী ভারতে জালনোট চক্রের হোতা!
/এসআই/এজে/