X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘কারাগারের ধারণক্ষমতা না বাড়িয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত’

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:৪৪আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ০৪:৫৬

 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক (ছবি: সংগৃহীত) মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হলে বর্তমান সময়ের মতো এত লোককে কারাবন্দি থাকতে হতো না বলে মনে করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি বলেন, ‘বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, বন্দিদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যকই রায়ের মাধ্যমে দোষী হয়ে কারাগারে রয়েছেন। যদি দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হতো তাহলে এত লোককে কারাবন্দি থাকতে হতো না। কারাগারের ধারণক্ষমতা না বাড়িয়ে আমাদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা উচিত।’  বুধবার সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘একটি কারাগারে গিয়ে দেখলাম প্রায় এক হাজার ৮শ’ কারাবন্দি রয়েছেন। অথচ সেই কারাগারের ধারণক্ষমতা পাঁচশ এর কিছু ওপরে। খোঁজ নিয়ে দেখলাম এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মাত্র সাড়ে তিনশ-এর মতো। এমনও দেখা গেছে ডাকাতির মামলায় ২৫ বছর জেল খেটেছেন। এই মামলায় দোষী হলেও সর্বোচ্চ তার ১৪ বছরের সাজা হতো। কিন্তু বিচার ছাড়াই তার চেয়ে বেশি সাজা খাটতে হয়েছে। জীবন থেকে এই যে সময়টা চলে গেল এটা কে দেবে! তাই আমি মনে করি যারা বন্দি থাকে তারা কারাগারে যে কাজ করে মুক্তির সময় তাদের সেই শ্রমের টাকা পরিশোধ করে দেওয়া উচিত। যেন কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তারা সেটা দিয়ে কিছু করতে পারেন।’

আইনগত সহায়তা পাওয়াকে অধিকার অভিহিত করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, 'লিগ্যাল এইড মানে শুধু আইনি সহায়তা পাওয়াটা কারও জন্য বদান্যতা নয়। বরং এটা একটা মানুষের অধিকার। রাষ্ট্র সেই অধিকার দিতে দায়বদ্ধ।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও জাতীয় আইনগত সহায়তা বিষয়ে আইন হলো ২০০০ সালে। এরপরও সেটা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের সঙ্গে কাজ করার সময় অনেক জায়গায় গিয়েছি। বিলম্বে হলেও এখন আইনি সহায়তার বিষয়টি অনেক স্পষ্ট হয়েছে।’

কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘মাত্র দুটি কিশোর ও একটি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র রয়েছে। এখান থেকে কমবয়সী আসামিদের বিচারের জন্য জেলায় পাঠানোটা বাস্তবিকভাবেই কঠিন। এ কারণে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতের বিচার করার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।’ আইনি সেবাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আগামী বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার আহ্বানও জানান কাজী রিয়াজুল হক। সূত্র: বাসস

/এমএনএইচ/

  

      

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লিগের মাঝপথে কাউকে কিছু না বলে কানাডায় কেন বাংলাদেশের ফুটবলার!
লিগের মাঝপথে কাউকে কিছু না বলে কানাডায় কেন বাংলাদেশের ফুটবলার!
বাঁচতে হলে জানতে হবে
বাঁচতে হলে জানতে হবে
ইইউ দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদারে মে মাসে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন ম্যাক্রোঁ
ইইউ দেশগুলোর সম্পর্ক জোরদারে মে মাসে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন ম্যাক্রোঁ
টিফিনের টাকা জমিয়ে দুই হাজার পথচারীকে স্যালাইন-পানি দিলেন ৫ শিক্ষার্থী
টিফিনের টাকা জমিয়ে দুই হাজার পথচারীকে স্যালাইন-পানি দিলেন ৫ শিক্ষার্থী
সর্বাধিক পঠিত
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
দক্ষিণে ‘ডায়াবেটিক ধানের’ প্রথম চাষেই বাম্পার ফলন, বীজ পাবেন কই?
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া পেলো হামাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগ ছাড়া কোথাও বৃষ্টির আভাস নেই
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু