X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও রোদ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ আগস্ট ২০১৭, ১৬:০৯আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৭, ১৬:২৩

 

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা (ফাইল ফটো) কোথাও মুষলধারে বৃষ্টি, আবার কোথাও ঝকঝকে রোদ। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও ধুলায় আচ্ছাদিত রাজধানীর পরিবেশ। এমন পরিস্থিতির দেখা মিলেছে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে।

তবে টানা ঘণ্টা তিনেকের বৃষ্টিতে দুর্ভোগ দেখা দেয় নগরজুড়ে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর আকাশে ঘুরে ঘুরে বৃষ্টি হয়েছে। এতে কোথাও কোথাও হাঁটু পানি দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে। যা সোমবারের তুলনায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের প্রায় দ্বিগুণ। এদিন দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল সৈয়দপুরে। 

আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির ধরণ কোথাও ছিল ভারি, কোথাও ছিল হালকা। আবার কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়নি। রাজধানী ঢাকায় এই চিত্র দেখা গেলেও সারাদেশে বৃষ্টির এমন ধারা ছিল না।

মঙ্গলবার সকালে যখন রাজধানীর মীরপুর, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, পল্টন, গুলিস্তান যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল, ঠিক তখন দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় ছিল ঝকঝকে রোদ। এ এলাকায় সকালে  কোনও বৃষ্টিপাত হয়নি।

মিরপুরের কালশী এলাকার বাসিন্দা আয়েশা হুমাইরা মুক্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য মাত্র ১৫ গজের রাস্তা রিকশায় পার হতে ২০ টাকা দিতে হয়েছে। রাস্তায় হাঁটু পানি থাকায় রিকশাওয়ালা ১০ দিনের আয় একদিনেই করে নিয়েছেন। আমাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা (ফাইল ফটো) তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বৃষ্টি দেখা দিলেও ৯টার দিকে তা বন্ধ হয়েছে। কিন্তু দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাস্তায় পানি ছিল। রাস্তার কোথাও কোথাও কাটা থাকায় পানির নিচের গর্তে পড়ে অনেকেই বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছেন। অফিসে যেতে পারেনি। অনেক বাস, প্রাইভেটকার ও লেগুনা এসব গর্তে পড়ে বিকল হয়ে গেছে। রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।’

অন্যদিকে, বনশ্রীর বাসিন্দা বিথি আক্তার জানান, সকাল থেকে তেমন  একটা বৃষ্টি হয়নি। সকাল সাতটার দিকে আকাশ একটু মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও আটটার পর তীব্র রোদ দেখা গেছে।

কাজল কেয়া নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী তার অ্যাকাউন্টে সকালের বৃষ্টিতে সৃষ্ট  হাঁটু পানির কয়েকটি ছবি ও ভিডিও আপলোড করে লিখেছেন- ‘মিরপুর ১০ নম্বর থেকে কাঁঠালবাগান যাচ্ছি, দৈনন্দিন কাজে যোগ দিতে। সবাই দোয়া করবেন।’

কয়েক জন ফেসবুক বন্ধু কাজল কেয়ার স্ট্যাটাসে মন্তব্য করে তাকে সাবধানতা অবলম্বন করে যেতে বলেছেন। কেউ কেউ লাইফ জ্যাকেট নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। 

 

/এসএস/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
রোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
ইউরোপা লিগরোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী