X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

ধলেশ্বরীও বুড়িগঙ্গার রূপ নিচ্ছে: পবা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৩আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৮

পবার সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) বলেছে, চামড়া শিল্প মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতায় সাভার চামড়া শিল্পনগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বেহাল দশা বিরাজ করছে। ফলে ধলেশ্বরীও বুড়িগঙ্গার রূপ নিচ্ছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘ধলেশ্বরীও বুড়িগঙ্গার পরিণতি বরণ করছে! ট্যানারি শিল্পনগরীর বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে ধলেশ্বরীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাভার চামড়া শিল্পনগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এই বেহাল দশার দায়ভার শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ, শিল্প মালিক, পরিবেশ অধিদফতর এবং বুয়েটের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কেউই এড়াতে পারে না। ইতোপূর্বে চালু করা সিইটিপির ১২ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধনের দুটি মডিউল কাঙ্ক্ষিত মানমাত্রায় বর্জ্য পরিশোধনে ব্যর্থ হয়েছে।

বুড়িগঙ্গাকে রক্ষায় রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারিগুলো আদালতের নির্দেশে সাভারের হরিণধরায় চামড়া শিল্প নগরীতে সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হওয়ায় এর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধলেশ্বরী নদীও দূষিত হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাভার চামড়া শিল্পনগরীর বর্তমান অবস্থা পরিদর্শনের ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘কঠিন বর্জ্যের ডাম্প ইয়ার্ড তৈরির কাজ এখনও শুরুই হয়নি। এ বর্জ্যের কিছু অংশ পুকুরে, অন্য অংশ যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। কঠিন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলা হলেও এখনও  কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।’ পবা মনে করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এ বেহাল দশা থেকে উত্তরণের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিত। তাদের আশঙ্কা, ইতোমধ্যে উদ্ভূত সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ না নিলে সাভার চামড়া শিল্পনগরীর অচিরেই হাজারীবাগের মতো অবস্থা হবে।

প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মডার্ন ক্লাবের সভাপতি আবুল হাসানাতসহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত বর্জ্য স্ক্রিনিং করার পর দুটি আলাদা পাইপলাইনে সিইটিপি ও ক্রোম রিকভারি ইউনিটে নির্গমণ বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাস্তবে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বর্জ্য স্ক্রিনিং ছাড়াই পাইপলাইনে ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে পাইপ ব্লক হয়ে বর্জ্য শিল্পনগরীতে ছড়িয়ে পড়ছে। সিইটিপির প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরে এবং পরিশোধিত বর্জ্যের গুণাগুণ নিয়মিত পরীক্ষার জন্য এখন পর্যন্ত কোনও গবেষণাগার স্থাপিত হয়নি। যদিও সিইটিপির মডিউল চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিয়মিত বর্জ্যের গুণাগুণ পরীক্ষা করা অত্যাবশ্যক।

 

 

/ইউআই/এএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
ছেলের মৃত্যুর ৪ দিনের মাথায় চলে গেলেন বাবা, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা