আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে ২০তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। বুধবার (২৮ মার্চ) মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান সংস্থাটির পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও এলডি সিডিসি) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।
ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, ‘আগামী ১-৭ এপ্রিল দেশের সব প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫-১২ বছর বয়সী শিশু এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে ১২-১৬ বছর বয়সী শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বিনামূল্যে এই ট্যাবলেট সরবরাহ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫-১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে কৃমি সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৩২ শতাংশ। এছাড়া, শূন্য থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৭ শতাংশ, ১৫-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ১৫ শতাংশ, ২৫-৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৭ শতাংশ এবং ৪৫-৫৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৫ শতাংশ।’
অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, ‘যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া, পেট ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোনও সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘ সময় থাকে না।’ খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, পিটি বা প্যারেড না করার পরামর্শ দেন তিনি।