জোড়া মাথার শিশু রাবেয়া-রোকাইয়ার সর্বশেষ অস্ত্রোপচার করা হবে আগামী বছর জানুয়ারিতে। সোমবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। এসময় এই দুই শিশুর চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক এবং শিশুদের মা তাসলিমা খাতুন এবং বাবা রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসকরা বলেন, রাবেয়া রোকাইয়ার অস্ত্রোপচার খুবই কঠিন। কারণ তাদের অস্ত্রোপচারের প্রথম পদক্ষেপে গত একশ বছরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ছিল। হাঙেরির চিকিৎসকরা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুইজনের রক্তনালী আলাদা করার জন্য ৯ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার করেন। এরপর গত ১৯ আগস্ট ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তাদের পরবর্তী অস্ত্রোপচারে দুই শিশুর মাথার খুলি, চামড়া এবং টিস্যু আলাদা করার চেষ্টা করবেন চিকিৎসকেরা।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আগামী অক্টোবরে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনের পর এই শিশুদের চিকিৎসা সেখানেই হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বার্ন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাঙেরির বুদাপেস্টের নিউরো সার্জারি হাসপাতালের প্রধান ডা. আন্দ্রে কোসকি, একই হাসপাতালের ডা. ইস্তভান হুদক এবং স্টে. জনস হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. গ্রেগ পটাকি।
উল্লেখ্য, জোড়া মাথার শিশু রাবেয়া-রোকাইয়াকে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর তাদের রক্তনালী পরীক্ষামূলকভাবে আলাদা করা হয়। এসময় তাদের প্রথম দফায় এনজিওগ্রাম করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় আবার চিকিৎসকরা তাদের এনজিওগ্রাম সম্পন্ন করলেন।
পাবনার চাটমোহর উপজেলার অমৃতকুণ্ডু গ্রামের শিক্ষক দম্পতির পরিবারে নেয় রাবেয়া-রোকাইয়া। এই জোড়া শিশুর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।