X
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
১৫ আষাঢ় ১৪৩২

কর্মমুখী জীবনের প্রতি হিজড়াদের আগ্রহ বাড়ছে

হিটলার এ. হালিম
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:২১আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৭

 

 

অনন্যা, আঁখি, মিতুল ও চৈতি

দীর্ঘদিনের প্রচলিত তোলা সংগ্রহের অভ্যাস ও ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে কর্ম করে অর্থ উপার্জনের দিকে আগ্রহী হয়ে উঠছেন হিজড়ারা। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, যোগাযোগ নির্বাহী, ফ্যাশন ডিজাইনার, র‌্যাম্প মডেল, এনজিও কর্মী, ব্যবসায়ী, এমনকি পার্লারের বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেও দেখা যাচ্ছে তাদের। 

জানা যায়,  রাস্তায়-বাসে-দোকানে সাহায্য নেওয়ার নামে জোর করে টাকা আদায়ের মতো কাজ করে বলে হিজড়ারা সমাজের চোখে নেতিবাচক ইমেজের মানুষ হিসেবে চিহ্নিত। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে। হিজড়াদের অনেকেই স্বীকার করেছেন, পেটের দায়ে তারা এসব করেন। যৌনকর্মী হিসেবেও কাজ করেন অনেকে। তবে ভালো এবং সম্মানজনক কাজ পেলে তারা কোনও ধরনের নেতিবাচক পথে আর পা বাড়াবেন না বলে জানিয়েছেন। সামাজিক জীবনের আশায় হিজড়াদের অনেকে এখন লেখাপড়াও করছেন। ভালো সুযোগ পেলে আরও ভালো করতে পারবেন বলেও বিশ্বাস তাদের। 

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সরকার হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় তাদের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় তাদের ট্রাফিক ‍পুলিশে চাকরি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পরে আর আলোর মুখ দেখেনি। এদিকে দেশে হিজড়া জনগোষ্ঠীর সংখ্যা নিয়ে সঠিক কোনও পরিসংখ্যান নেই বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে। তবে সরকারি হিসাব অনুযায়ী (২০১২ সালের হিসাব) দেশে হিজড়ার সংখ্যা ১২ হাজারের মতো। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসকারী তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সংখ্যাও সঠিক নয়। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিত মাত্র ২ শতাংশের কিছু বেশি। এদের মধ্যে কেউ কেউ মাস্টার্স ডিগ্রিধারী আছেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে বিভিন্ন ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষার পাশাপাশি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছেন হিজড়ারা। এক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা পেরোতে হলেও সম্মানজনকভাবে অর্থ উপার্জণ করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তারা।

নৃত্যকলায় ডিপ্লোমা করে অনন্যা এখন একটি এনজিওর প্রধান

অনন্যা ভৌমিক উচ্চমাধ্যমিক পাশ। ডিগ্রি পড়া শেষ করতে পারেননি। তার আগেই তাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয় হিজড়া বলে। ৯ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট অনন্যা পরে বাফা থেকে নৃত্যকলায় ডিপ্লোমা করেছেন। বর্তমানে তিনি সাভারের সাদা-কালো নামের একটি এনজির প্রধান। এনজিওটির কার্ক্রম ঢাকার আমিনবাজার থেকে মানিকগন্জের পাটুরিয়া ঘাট পর্ন্ত বিস্তৃত।

এ ব্যাপারে অনন্যা বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠান আগে বিদেশ থেকে ডোনেশন পেত। কিন্তু ডোনেশন নিয়ে অনেক চাপ থাকে। তাই ২০১৫ সাল থেকে আর কোনও ডোনেশন নিচ্ছি না। নিজেরাই চালাচ্ছি।’

নিজে প্রতিষ্ঠান দিয়ে হিজড়াদের নিয়েই কাজ করছেন অনন্যা। হিজড়াদের জীবন মানের উন্নয়ন, পেশার উন্নয়ন, নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে থাকে তার প্রতিষ্ঠান সাদা-কালো।

তিনি আরও জানান, তিনি নিজে একজন গুরু-মা। তার অধীনে রয়েছে ৮ জন শিষ্য, যারা পার্লারসহ বিভিন্ন এনজিওতে চাকরি করেন। এনজিও দেখাশোনার পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে করে দেওয়া বিউটি পার্লারগুলোও দেখভাল করেন তিনি।

অনন্যা মনে করেন, সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষতা পেলে হিজড়ারা নতুন পেশায় এসে সম্মানজনক জীবন পাবে। 

পুরনো পেশা ছেড়ে বিউটিশিয়ানের কাজ করছেন আঁখি

আঁখি হিজড়া পড়াশোনা করেছেন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। ৪ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট হওয়ায় ডানপিটে ছিলেন। আরও পড়ার আগ্রহ থাকলেও কেবল মেয়েলি আচরণের জন্য পরিবারের অনাগ্রহ ও সহপাঠীদের রুঢ় আচরণের জন্য আঁখি পড়াশোনায় ইস্তফা দিয়ে ১৫ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। এরপর আশ্রয় নেন হিজড়া শিবিরে। সেই থেকেই হিজড়া হিসেবেই জীবন কাটছে তার। গুরুমার আশ্রয়ে থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি এখন সাভারের নবীনগরের একটি বিউটি পার্লারে বিউটিশিয়ান হিসেব কাজ করছেন। তিনি এখন তার আগের পেশার কথা মনেও করতে চান না।

বাংলা ট্রিবিউনকে আঁখি বলেন, ‘সম্মানজনক জীবন কে না চায়। কে চায় মানুষের গালমন্দ শুনতে, লাথি ঝাঁটা খেতে। এই জীবন এখন অনেক ভালো।’ 

হিজড়াদের প্রশংসা করে আঁখি বলেন, ‘হিজড়াদের অনেক গুণ আছে। এগুলো অনেকে জানে না। এই যেমন আমি নাচতে পারি, মানুষ সাজাতে পারি, কাপড় সেলাই করতে পারি। এগুলোর কোনও একটি কাজ হিজড়াদের দিয়ে দেখেন, তারা অন্যদের চেয়ে ভালো করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে সাজতে অনেকে জড়তা বোধ করেন। কিন্তু একবার সেজে গেলে তারা আমার স্থায়ী গ্রাহক হয়ে যান। এটা আমার ভালো লাগে। এই পেশায় অনেক ভালো আছি আমি। আমার মতো যারা আছে, তাদের প্রতি অনুরোধ, চোখ কান খুলে রাখো। ভালো থাকার অনেক সুযোগ আছে।’

ফ্যাশন ডিজাইনে মাস্টার্স করে মিতুল এখন একটি গার্মেন্টসে ডিজাইন সেক্টরের প্রধান

মিতুল ছোটবেলা থেকেই একটু অন্যরকম। ঠিক আর দশ জনের মতো নয়। মেয়েদের মতো চলাফেরা, সাজা ও মেয়েদের স্টাইলে কথা বলাতেই তার আগ্রহ ছিল বেশি। ফলে তার কপালে জুটে যায় হিজড়াদের মতো জীবন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘এখন যারা হিজড়া আছেন, আমি ঠিক তাদের মতো করে আচরণ করি না। আমি তাদের সঙ্গে থাকি না। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে টাকা তুলি না, মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণও করি না। আমি এখনও পরিবারের সঙ্গে আছি। যদিও পড়াশোনার জন্য আমি ঢাকায় থাকি। সেই অর্থে আলাদা থাকি আরকি! বাবা, মা, ছোট ভাইসহ পরিবারের সবাই দিনাজপুরে থাকেন।’

শিক্ষাজীবন প্রসঙ্গে তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে পড়াশোনা শেষ না করে ভর্তি হন শান্তমারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে। মাস্টার্স শেষ করে এখন ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের কাজ করছেন। কিছুদিন থেকে একটি বড় গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানায় প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।

হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে পিএইচডি করতে চান জানিয়ে বলেন, ‘আমি সহশিক্ষা কার্যক্রমে পড়াশোনা করেছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইডি করার জন্য এরই মধ্যে আবেদন করেছি। গবেষণার বিষয় হিউম্যান সাইকোলজি।’ তিনি হিজড়া সম্প্রদায়ের সামাজিক, আর্থিক, আত্মিক ও পেশাগত উন্নয়নে কাজ করে যেতে চান বলেও জানিয়েছেন।

মানবাধিকার কমিশনে চাকরি করছেন চৈতি  

পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। ছেলে শিশু হিসেবে জন্মের পর ১১-১২ বছর বয়সে নিজের পরিবর্তন বুঝতে শুরু করেন তিনি। এক মেয়েলি ডাক ভেতর থেকে নাড়া দিতো তাকে। এরপর কঠিন জীবন। বাংলাদেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে নির্বাহী হিসেবে (অভ্যর্থনাকারী) হিসেবে যোগ দেওয়া তানিশা ইয়াসমিন চৈতির কাছ থেকে জানা যায় এসব তথ্য।

জানা যায়, চৈতির জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজবাড়ীতে। তবে অন্য মানুষদের মতো তার জীবন এতটা স্বাভাবিক ছিল না। চৈতির প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ শুরু হয় পরিবার থেকেই। তিনি নিজের সার্বিক অবস্থা বোঝাতে পারছিলেন না কাউকে। এদিকে চৈতির পরিবর্তন মানতে না পেরে তার সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে পরিবার। এ প্রসঙ্গে চৈতি বলেন, ‘আমি পরিবারের একমাত্র পুরুষ সদস্য ছিলাম। যে কারণে মা-বাবা এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারছিলেন না। ধীরে ধীরে আমার প্রতি তাদের আচরণ বদলে যেতে থাকে এবং আমাকে সবকিছুতে নিরুৎসাহিত করতে শুরু করে। চাপ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে নিরাপদ জীবনের আশায় হিজড়াদের সঙ্গে থাকার জন্য প্রথমবারের মতো বাড়ি ছাড়ি।’

পরে তিনি আবার পরিবারে ফিরে আসেন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর যোগ দেন একটি এনজিওতে। রাজবাড়ীতে স্নাতকে ভর্তি হন। ছেলে হিসেবে ভর্তি হয়ে মেয়েদের বৈশিষ্ট্য বেশি দেখানোয় পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি। ফলে স্থায়ীভাবে ঢাকায় চলে আসেন। এসেই ভর্তি হন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এই সময়ের মধ্যে অবশ্য আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন চৈতি।

এ ব্যাপারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘মানবাধিকারের উন্নয়ন ও সুরক্ষায় মানবাধিকার কমিশনের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ (চৈতিকে চাকরি দেওয়া) নেওয়া হয়েছে। চৈতি (হিজড়া) এখন এই সংস্থার (জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের) ফ্রন্ট ডেস্ক এক্সিকিউটিভ। আমরা বিশ্বাস করি, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় আমাদের এই উদ্যোগ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকেই উৎসাহিত করবে।

হিজড়াদের কর্মমুখী জীবনের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে লিঁয়াজো অফিসার হিসেবে কাজ করছেন শাম্মি হিজড়া। ব্ল্যাস্টে কর্মরত আছেন শোভা সরকার। শান্তা ও সোহাগী কাজ করেন বিউটি পার্লারে। এমন অনেক হিজড়ায় সম্মানজনক পেশায় ধীর ধীরে যুক্ত হচ্ছে।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সম্মানজনক পেশায় হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাশার তুলনায় কম হলেও একটি ইতিবাচক ধারা শুরু হয়েছে দেশে। এর পেছনে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হিজড়াদের বিভিন্ন সংগঠনও কাজ করছে।’ সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয় উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘হিজড়ারা ইতোমধ্যে তা পেয়েছে। আমি মনে করি, হিজড়াদের ডিজঅ্যাবিলিটি কমিউনিটি হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। তাহলে তারা কিছু বিশেষ সুবিধা পাবে।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘হিজড়ারা যদি সমাজে সমঅধিকার ভোগ করে, প্রাপ্ত সব নাগরিক সুবিধা পায়, তাহলে তারা আত্মবিশ্বাসী হবে। তাদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে।’ 

 

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মুরাদনগরে ধর্ষণের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল
মুরাদনগরে ধর্ষণের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল
বাহরাইনকে ৭ গোলে হারালো বাংলাদেশ
বাহরাইনকে ৭ গোলে হারালো বাংলাদেশ
ইনডাইরেক্টলি শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে, ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস
ইনডাইরেক্টলি শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে, ইসলামী আন্দোলনের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস
রাকসু নির্বাচনের তফসিলসহ ৯ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
রাকসু নির্বাচনের তফসিলসহ ৯ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সর্বাধিক পঠিত
‘সরকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে আন্দোলন ঘোষণা করবো’
‘সরকার দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে আন্দোলন ঘোষণা করবো’
সরকারি গাড়িতে দাওয়াতে গেলো ইউএনও’র পরিবার
সরকারি গাড়িতে দাওয়াতে গেলো ইউএনও’র পরিবার
‘সবাইকে ম্যানেজ করা আছে, দুদক কিংবা কেউ কিছুই করতে পারবে না’
মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসীর নামে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ উপপরিচালকের‘সবাইকে ম্যানেজ করা আছে, দুদক কিংবা কেউ কিছুই করতে পারবে না’
মুরাদনগরে গলায় ছুরি ধরে নারীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
মুরাদনগরে গলায় ছুরি ধরে নারীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা
খুলনা প্রেসক্লাবে কী ঘটেছে, জানালেন প্রেস সচিব
খুলনা প্রেসক্লাবে কী ঘটেছে, জানালেন প্রেস সচিব