X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগ

এস এম আববাস
১২ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩৩আপডেট : ১২ মার্চ ২০১৯, ১৭:৩৭

বিনামূল্যের পাঠ্যবই

জামালপুর সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের পাঠ্যবই কোচিং সেন্টারে বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।  বলা হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে  শিক্ষা অফিসার আফরোজা বেগম  প্রতিবছর ২০ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করছেন। শুধু তাই নয়,  তিনি ঘুষ ছাড়া কোনও প্রতিষ্ঠানকে পাঠ্যবই দেন না। এসব অভিযোগ করেছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা।

তবে শিক্ষকদের এই অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা অফিসার আফরোজা বেগম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেসিপ (সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম)- এর প্রশিক্ষণে সব শিক্ষককে একসঙ্গে সুযোগ দেওয়া যায় না। এই প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের টাকা দেওয়া হয়।  এতে অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিতে না পারায় কিছু শিক্ষক আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। তারাই এসব করছেন।’

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে উপজেলার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিক্রিসহ ১৭ দফা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, বিনামূল্যের পাঠ্যবই কোচিং সেন্টারের কাছে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করেন সদরের শিক্ষা অফিসার। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বই বিতরণের সময়   প্রতিটি  প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়া হয় এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিটি নিয়োগের ক্ষেত্রেও  নগদ টাকা ঘুষ নেন, অফিস না করে বাসায় বসে ফাইলে সই করেন তিনি।

শিক্ষা অফিসার আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, শীত ও গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা পরিচালনায়  সরকারের দেওয়া টাকা তিনি নিজের অ্যাকাউন্টে রাখেন। বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণের সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিবহন ব্যয় দেওয়ার নিয়ম রয়েছে এবং এজন্য সরকারি টাকাও বরাদ্দ আছে।  অভিযোগ, জামালপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ২০১৫ সালে পরিবহন খরচের বরাদ্দ এক লাখ ৫৪ হাজার ৪৮৪ টাকা কোনও প্রতিষ্ঠানকে দেননি।

মাউশির মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছেন ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।

কোচিং সেন্টারে টাকার বিনিময়ে বই বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে আফরোজা বেগম বলেন, ‘ওগুলো কোচিং সেন্টার হলেও তাদেরকে বই দেওয়ার অনুমোদন রয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলোও    এখন সব স্কুল। তারা বই পায়। এজন্য তাদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। এসব অভিযোগ মিথ্যা।’

উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে জামালপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হেলিম ফকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অভিযোগের সত্যতা পাইনি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চলবে
সর্বশেষ খবর
অবশেষে মোংলায় ঝরলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
অবশেষে মোংলায় ঝরলো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
‘দেওরা’ সফলতার পর ‘মা লো মা’ চমক
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার তালিকায় সৈকত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আম্পায়ার তালিকায় সৈকত
গাজায় পানিশূন্যতায় ভুগছেন দেড় লক্ষাধিক অন্তঃসত্ত্বা নারী
গাজায় পানিশূন্যতায় ভুগছেন দেড় লক্ষাধিক অন্তঃসত্ত্বা নারী
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ