ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। আর মাত্র একদিন পর জমে উঠবে পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরির শিল্পীরা। শেষ মুহূর্তেও ব্যস্ততার কমতি নেই তাদের। গভীর মগ্নতা নিয়ে শিল্পীরা কাজ করছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলতে দেখা যায়। এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৈবেদ্য কবিতা থেকে নেওয়া ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’।
সরেজমিন দেখা যায়, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য বিভিন্ন প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন শিল্পীরা। পেঁচা, হরিণ, হলুদ পাখি, হাতি, সিংহ, ঘোড়া ইত্যাদির প্রতীক তৈরি করা হয়েছে। এসব তৈরির দায়িত্বে ছিলেন চারুকলা অনুষদের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। সবকিছু মিলিয়ে চারুকলা প্রাঙ্গণে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
এদিকে, শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উদযাপন নিশ্চিত করতে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশের সদস্যদের চারুকলায় টহল দিতে দেখা গেছে। বৈরী আবহাওয়ার জন্য কার্পেট দিয়ে উঁচু করে ছাউনি তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়াও চৈত্রসংক্রান্তিও উদযাপন করা হবে চারুকলার বকুলতলাতে। সেখানে চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপন করতে নানারকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতির বিষয়ে কথা হয় ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনয় সরকারের সঙ্গে। তিনি জানান, মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি একেবারেই শেষের দিকে। পেঁচা, হরিণ, হলুদ পাখি, হাতি, সিংহ, ঘোড়ার প্রতিকৃতিতে রঙ করা হচ্ছে। তবে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ কাজ একটু বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে চারুকলা অনুষদের ডিন ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক নিসার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। বৈরী আবহাওয়ার জন্য কাজ শেষ করতে একটু সময় লাগছে। আজ সারারাত কাজ করতে হবে।’