X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

ডিএনসিসিতে মশার ওষুধ সরবরাহকারী পাকিস্তানি কোম্পানির বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ

শাহেদ শফিক
২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৪:২৪আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৯, ২১:৪২

ডিএনসিসিতে মশার ওষুধ সরবরাহকারী পাকিস্তানি কোম্পানির বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মশার ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নোকন লিমিটেডের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী ভয়াবহ চক্রান্তের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কীটনাশক ও ওষুধ রফতানির আড়ালে দেশে খাদ্য ঘাটতি তৈরির চক্রান্ত করছে। নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ করে এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির মালিকসহ শীর্ষস্থানীয় কর্তা ব্যক্তিরা দেশে জঙ্গি অর্থায়ন, আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান ও ভুয়া রফতানি দেখিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করছে। বাংলাদেশবিরোধী একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষেও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে দেশের আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।’ খোদ সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বর্তমান সরকারের গত মেয়াদের শুরুর দিকে তৈরি করা এমন একটি প্রতিবেদনের কপি বাংলা ট্রিবিউনের হাতে এসেছে।
কোম্পানিটির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে- বিদেশি মালিকানাধীন ‘নোকন গ্রুপ’ এর চেয়ারম্যান আজিজ ধামজি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাকিব কারসাজ। দু’জনই পাকিস্তানি নাগরিক। কিন্তু তারা আমেরিকান নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। আজিজ ধামজি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তিনি মাঝেমধ্যে প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড পরিচালনা জন্য ঢাকায় আসেন। প্রতিষ্ঠানটি মূলত অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এতে আরও বলা হয়েছে, কৃষিপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নোকন গ্রুপ যেসব কীটনাশক সরবরাহ করেছে তার মান অত্যন্ত নিম্নমানের। তাদের নিন্মমানের পণ্যের কারণে গুদামজাত ধান ও গমে পোকার উপদ্রব ব্যাপকহারে বেড়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যেসব কীটনাশক সরবরাহ করেছিল তা প্রয়োগে মাঠপর্যায়ে পোকামাকড় মরেনি। তাদের ওষুধ ব্যবহার করে আখের ফলন ব্যাপকহারে কমেছে। সরকারি হাসপাতালেও ওষুধ সরবরাহে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের গুলশান ব্রাঞ্চে দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাঠানো হয়। আবার ওই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর টাকা তুলে দেশে জঙ্গি অর্থায়নে ব্যয় করা হয়েছে। ভুয়া রফতানি দেখিয়ে এতোমধ্যে আল ফালাহ ব্যাংকের মতিঝিল ও রাজউক শাখা থেকে ১৩ কোটি টাকা উত্তোলন করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘ইতোমধ্যে শাম্মি আহমেদ নামের একজন বিদেশি নাগরিক ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দেশে অবস্থান করেছেন। তিনি মূলত একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বৈরী গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট। নোকন গ্রুপকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করে এর স্বার্থ আদায় কীভাবে করা যায় তা তত্ত্বাবধানের জন্য তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন। নোকনের এজেন্ডাই হচ্ছে- ওই গোয়েন্দা সংস্থার উদ্দেশ্য সাধন করে এ দেশে বিভিন্নভাবে খাদ্য ঘাটতি তৈরি করা। নিম্নমানের ভেজাল কীটনাশক সরবরাহ করে চাল, গম, আখে পোকার আক্রমণ ঘটিয়ে বিনষ্টকরণের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সরকারের যৌথ প্রকল্পগুলোকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা। এ লক্ষ্যে নোকন লিমিটেড জামায়াতে ইসলামীসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কোম্পানিটির মালিকসহ এ সংশ্লিষ্ট কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে- নোকন লিমিটেড মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মালিকানাধীন পরিচয়ের আড়ালে বৈরী গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে কাজ করছে। জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কৌশলে অর্থ উপার্জন করছে। তাদের অর্জিত আয়ের অধিকাংশই দেশের কিছু জঙ্গি সংগঠনে ব্যয় করে তাদের সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।
কোম্পানিটি কৌশলে এ দেশের কিছু ব্যক্তিকে লোভে ফেলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের মতো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে সরকারবিরোধী মহল সরকারের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালানোর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়াস পাচ্ছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির এ ধরনের কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক মহলেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বিদেশি নাগরিক কর্তৃক এ দেশের কোনও ব্যাংকে দ্বৈত অ্যাকাউন্ট খোলায় একটি পণ্যের ডিক্লারেশনের আড়ালে অন্য পণ্য রফতানি, ভিন্ন ভিন্ন নামে কোনরূপ হিসাব ছাড়া বিদেশে টাকা পাচার অথবা এ দেশে ব্যবসা করার মাধ্যমে অর্জিত টাকা এ দেশেরই সন্ত্রাসী জঙ্গি সংগঠনকে দেওয়া নিঃসন্দেহে গুরুতর অপরাধের আওতাভুক্ত বলে বিবেচিত হয়। অভিযোগুলো আরও যাচাই করে এ প্রতিষ্ঠান এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে দেশের আইনেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর পার হলেও এখনও প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, নোকন লিমিটেডের বিষয়ে আগেও সরকারের সংসদীয় কমিটি আপত্তি জানিয়েছিল। আপত্তিতে বলা হয়েছে, এই পাকিস্তানি কোম্পানি তাদের ওষুধের মাধ্যমে দেশে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। বলা হয়েছে, কীটনাশক আমদানির ফাঁদে দেশকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত থাকতে পারে নোকন।
কমিটির তৎকালীন সভাপতি তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএসএফআইসি’র (বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন) কর্মকর্তাদের পাকিস্তানপ্রীতি দেখে কমিটির সদস্যরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে প্রথমে কৃষি ও পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর সময় এ প্রতিষ্ঠানটি কৃষি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত বিভিন্ন কীটনাশক আমদানির টেন্ডার পায়। সেই থেকে এ পর্যন্ত দেশে কীটনাশকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে তারা।
জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি তো তখন ছিলাম না। যেহেতু এমন অভিযোগ শুনেছি আগামীকাল অফিসে গিয়ে খবর নেবো।’ তবে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি সত্য। প্রতিবেদনের কপি আমরা পেয়েছি। যতদূর জানি তখন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। আমরা আবারও খোঁজ নিচ্ছি। এমন কিছু করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভুয়া রফতানি দেখিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করার বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু অনেক আগের ঘটনা। আমি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো। কেউ যদি ব্যবসার নামে এমন কিছু করে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। বিষয়টি জানিয়ে খুদে বার্তা পাঠালেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, নোকন লিমিডেট বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মশার ওষুধ সরবরাহ করে আসছে। অভিযোগ উঠেছে, তাদের ওষুধেও মশা মরে না। মশা মারার জন্য যেসব উপাদান দিতে হয় সেগুলো নোকনের ওষুধে নেই। তবে মশা অজ্ঞান হয়ে পড়ে, পরে জ্ঞান ফিরলে উড়ে যায়।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির ভাণ্ডার বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডিএনসিসিতে সরবরাহ করা ওষুধের মধ্যে নোকন লিমিটেডের যেসব উপাদান রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- টেট্রামেথ্রিন ০.২০%,পারমেথ্রিন ০.২০% ও এস. বায়োথ্রিন ০.১০%। এ তিনটি উপাদান মিশ্রিত করে মশা নিধনে ব্যবহার করায় মশা জ্ঞান হারিয়ে পড়ে কিন্তু মরে না। এসব উপাদানের মধ্যে মশা মরার জন্য কার্যকর অন্যতম উপাদান প্যালাথ্রিন নেই। এর দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি লিটার ২৫০ থেকে ৩০০ মার্কিন ডলার। এই উপাদানটির পরিবর্তে যেটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি হচ্ছে এস. বায়োথ্রিন ০.১০%। এর দাম ৭৫ থেকে ৮০ মার্কিন ডলার। এরপরও কোম্পানিটি সিটি করপোরেশনের দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা হতে পারেনি। আর এ কারণে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোকন লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. খালিদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেন এমন অভিযোগ উঠেছে জানি না। অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমাদের ওষুধের কোনও সমস্যা নাই। যদি সমস্যা হতো তাহলে তো সিটি করপোরেশন ব্যবহার করতো না। এছাড়া ইজিপিতে (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) কোনও অনিয়মের সুযোগ নেই।’
এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা বেশকিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলেছে যেগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাসহ দেশের জনস্বার্থের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এরপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে কেন হলো না, বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা তদন্ত করা দরকার। যদি ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হয় তাহলে সেটিও জনসমক্ষে প্রকাশ করা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু এই কোম্পানির বিরুদ্ধে মানহীন ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ আছে তাই এই প্রতিষ্ঠানকে মশার ওষুধ সরবরাহ করার জন্য কারা দায়িত্ব দিয়েছেন সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।’
অভিযোগ রয়েছে- সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আড়াই কোটি টাকা বেশি দামে মশার ওষুধ সরবরাহ করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যাদেশ দিয়েছে। এতে এক কোটি টাকা ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে। এছাড়া কোম্পানিটির সরবরাহ করা ওষুধে মশা মরে না। আর এই অভিযোগটি উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। তার কার্যালয়ে গিয়েও সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি। অভিযোগগুলো উল্লেখ করে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোনও সাড়া দেননি।

 

/ওআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কূটনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন-জার্মানির কৌশলগত সংলাপ
কূটনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন-জার্মানির কৌশলগত সংলাপ
বাংলাদেশি ২০ পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক
বাংলাদেশি ২০ পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক
করবিন-সুলতানার দল কি ব্রিটিশ রাজনী‌তি‌তে ভূমিকা রাখ‌তে পার‌বে?
করবিন-সুলতানার দল কি ব্রিটিশ রাজনী‌তি‌তে ভূমিকা রাখ‌তে পার‌বে?
সারা দেশে আগামী কয়েকদিন বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
সারা দেশে আগামী কয়েকদিন বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল