X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএনসিসির অভিযানে দুই জনের কারাদণ্ড, দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:৫১আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:২০

ডিএনসিসি’র উচ্ছেদ অভিযান

ফুটপাত ও সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে দুই জনকে কারাদণ্ড ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম, সাজিদ আনোয়ার, আব্দুল হামিদ মিয়া ও জুলকার নাইন এসব অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

অভিযানটি উত্তরার সোনারগাঁও জনপথ থেকে শুরু হয়ে গরীবে নেওয়াজ এভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি এবং মাসকট প্লাজার পেছনে গিয়ে শেষ হয়। এতে প্রায় তিন শতাধিক অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করা হয় বলে দাবি করেছে ডিএনসিসি।

অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১ ব্যক্তিকে ৩ মাসের কারাদণ্ড, অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করায় আরও ১ জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড এবং ২টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে হাংরি ডাককে ২ লাখ টাকা ও ‘খাজানাকে’ ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন,  ‘অনেকেই ফুটপাত দখল করে অবৈধ বাণিজ্য করছেন। বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক অফিস নির্মাণ করেছেন। যদিও সিটি করপোরেশন সুন্দর সুন্দর রাস্তা তৈরি করে। পথচারীদের জন্য ফুটপাত তৈরি করে। কিন্তু ফুটপাত দখল করে বাণিজ্য করায় জনগণ ফুটপাত ব্যবহার করতে পারে না। তাই তারা ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। তাই ফুটপাতে কোনও রকম বাণিজ্য চলবে না। কোনও রকম রাজনৈতিক কার্যালয় থাকতে পারবে না। আমি সকলকে অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের ফুটপাতগুলো মুক্ত করে দেবেন। মানুষ ফুটপাত দিয়ে হাঁটলে রাস্তায় গাড়ি নির্বিঘ্নে চলতে পারবে। কোনও যানজট থাকবে না।

মেয়র আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দুর্নীতির ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের সবাইকে এই শহরটাকে ভালোবাসতে হবে, এই দেশটাকে ভালোবাসতে হবে। ফুটপাতে হকাররা আছেন। অনেক বড় বড় মার্কেটের সিঁড়ি রয়েছে ফুটপাতের ওপর। জনগণকে কষ্ট দিয়ে নিজেদের স্বার্থে কোনও কিছু করতে দেওয়া হবে না। জনগণ সবার আগে।

অভিযানকালে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

/এসএস/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজাগামী জর্ডানের ত্রাণবহরে ইসরায়েলি হামলা
গাজাগামী জর্ডানের ত্রাণবহরে ইসরায়েলি হামলা
বাংলাদেশ-সৌদির উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সমীক্ষা সম্পন্ন
বাংলাদেশ-সৌদির উদ্যোগে ইউরিয়া সার কারখানার সমীক্ষা সম্পন্ন
২০০১ সালে আলোচিত সেই ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
২০০১ সালে আলোচিত সেই ধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
বিএনপির ধ্বংসে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির ধ্বংসে বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না: ওবায়দুল কাদের
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
অষ্টম শ্রেণির স্কুল বাড়াতে চায় সরকার
অষ্টম শ্রেণির স্কুল বাড়াতে চায় সরকার