২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ওয়াহিদ ম্যানশনে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭১ জন। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার আজ এক বছর। এ ঘটনায় নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।তারা বলছেন, পরিবারগুলো এখনও কষ্টে দিনযাপন করছে। গত এক বছরে সরকারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীদের পরিবারগুলো কোনও সহযোগিতা পায়নি।
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির এক বছর উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক সংগঠনগুলোর ব্যানারে ওয়াহিদ ম্যানশনের সামনে আয়োজন করা হয় দোয়া প্রার্থনার। একইসঙ্গে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কালো ব্যাচ ধারণসহ গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হাফেজ হারুন বলেন, 'চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের একবছর হয়ে গেলো। ঘটনার পর সরকারি-বেসরকারি কত সংস্থা এখানে এসেছে। তারা বিভিন্ন সময় আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু কিছুই হয়নি। এখনও আগ্নিকাণ্ডের দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হয় নি।'
তিনি বলেন, ‘একবছর পর আমরা এই ওয়াহিদ ম্যানশনের সামনে দাঁড়িয়েছি, কথা বলছি। এর আগেও দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো কোনও সুবিধা পায়নি। নিহত অনেকের স্বজনরা এখনও চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন, কিন্তু চাকরি পাচ্ছেন না। ’
হাফেজ হারুন বলেন, ‘চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা নিহত, আহত হয়েছেন, যে পরিবারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সরকারের কাছে তাদের জন্য সাহায্য- সহযোগিতা করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।’
এদিকে ওয়াহিদ ম্যানশনের সামনে একটি টেবিলে গণস্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এলাকাবাসী ও পথচারীরা গণস্বাক্ষর করছেন। সেই সঙ্গে তাদের একটি করে কালো ব্যাচ পরিয়ে দেওয়া হয়।
গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরকারীরা বেশ কিছু দাবিও তুলে ধরেছেন। কেউ লিখেছেন, 'ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানাচ্ছি, কেউ বলছেন 'দোষীদের শনাক্তের দাবি'। আবার কেউবা লিখেছেন, 'পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল গোডাউন চাই না।’
স্থানীয়রা নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনার জন্য কোরআন খতমের শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ছবি: শেখ জাহাঙ্গীর আলম