X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

অপহরণকারীদের সহায়তার অভিযোগে সাভার থানার ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:১১আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৪৮

 রিয়াজ উদ্দিন নামে এক মানবাধিকার কর্মীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এফএম শাহেদ হোসেনসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহারের আদালতে রিয়াজ উদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনায় পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

পরে বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে ৩০ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় নির্দেশ দেন।  

মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাভার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া, উপপরিদর্শক (এসআই) পলি এবং সাভার থানা এলাকার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. এনামুল হক, অপহরণকারী বৃষ্টি, তার স্বামী শুধাংশ রায়, নয়ন কুমার ও রণিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আজাদ রহমান, প্রিয়লাল সাহা, সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছর ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে আসামি বৃষ্টির ফেসবুকে পরিচয় হয়। সেখানে তিনি বাদীকে একটি ছেলেসহ বিভিন্ন অসহায়ত্বের কথা জানান। বাদী মানবাধিকার কর্মী হওয়ায় বৃষ্টি তার কাছে সহায়তা চান এবং সরেজমিনে অসহায়ত্ব দেখে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামি বৃষ্টির কথায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি সাভার বাসস্ট্যান্ড হয়ে হেমায়েতপুরস্থ বালুর মাঠের সোহরাব হোসেনের বাড়িতে দুপুর ১টার দিকে যান। সেখানে ৩/৪ জন ছেলে তাকে বৃষ্টির ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বাড়িতে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে তাকে বেঁধে মারধর শুরু করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, মোবাইল, ক্যামেরা, এটিএম কার্ড নিয়ে যায়।

এরপর নির্যাতনকারীরা এটিএম কার্ড ও বিকাশের পিন নম্বর ব্যবহার করে ৬ হাজার টাকা তুলে নেয়। এরপর বাদীর মোবাইল নম্বর থেকে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন জনকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোনও মুক্তিপণ না পেয়ে বিকাল ৪টার দিকে সাভারে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এরপর বাদী সাভার থানায় যান এবং পুলিশের কাছে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, পুলিশ কর্মকর্তা এনামুল হক ওইদিন সন্ধ্যার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে আসামি বৃষ্টি, নয়ন কুমার, রণি ও অজ্ঞাত এক নারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। থানার আসার পর মামলার প্রস্তুতির এক পর্যায়ে পুলিশ বাদীকে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়। সমঝোতায় না আসলে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখান। পরে বাদী জানতে পারেন যে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। পরে আসামিদের থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

 

/টিএইচ/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকার টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
স্বজনদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন ওবায়দুল কাদের
দুর্নীতির দায়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতির দায়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটারকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা
এসএসসি’র ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা
এসএসসি’র ফল প্রকাশের দিন ঘোষণা
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক