X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান প্যানেল প্রত্যাশীরা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৪আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৩৪

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান প্যানেল প্রত্যাশীরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে প্যানেল চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন ২০১৪ সালে স্থগিত (২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। করোনার মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানান তারা।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে সংবাদ সম্মেলন করে প্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।
ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে মুজিববর্ষে বেকারত্বের অভিশাপমুক্ত করতে প্যানেলে নিয়োগের দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। করোনার মধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে না দিয়ে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিবের কাছে আহ্বান জানান।
‘প্যানেল চাই, নয় চার বছর ফেরত চাই’ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১০-২০১১ সালের বিজ্ঞপ্তিতে প্যানেল করার বিষয় উল্লেখ ছিল না, কিন্তু ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে। ২০১১ সালের প্যানেলের মামলা জটিলতায় আমাদের চার বছর সময় নষ্ট হয়েছে।
তারা বলেন. ২০১৪ সালের নিয়োগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল শূন্য পদের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। অথচ ২০ হাজার শূন্য পদ থাকলেও নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জন। আবার বিতর্কিত ২০১৮ সালের (২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয় ১৮ হাজারের বেশি। এক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়।
২০১৪ স্থগিত ২০১৮ অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগ বঞ্চিত ১৯ হাজার ৭৮৮ জন প্রার্থী প্যানেলের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগে দুটি পুল ও প্যানেলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের মামলা জটিলতার কারণে ২০১৪ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ৪ বছরের জন্য স্থগিত ছিল। ২০১৮ সালের অক্টোবরে যখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তখন শূন্যপদ পূরণ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দাবি তুলে ধরে জানানো হয়, ২০১৪ সালে স্থগিত (২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখের মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২৯ হাজার ৫৫৫ জন প্রার্থী। ওই পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। অথচ এদের মধ্যে চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয় মাত্র ৯৭৬৭ জনকে। বিপুল সংখ্যক যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
পরীক্ষাটি ৪ বছর স্থগিত থাকার কারণে প্রায় ৯০ শতাংশ প্রার্থীর চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হন তারা। ২০১৪ সালের প্যানেল প্রত্যাশীদের সংখ্যা বর্তমানে খুব বেশি নয়। যারা ইতোমধ্যে অনেকেই অন্যান্য চাকরিতে কর্মরত আছে।
বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা ৬০ হাজার দাবি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এত শূন্য পদ থাকার পরও কেনো ১৯ হাজার ৭৮৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে না? তাছাড়া অনেকেই অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণে এই সংখ্যাও কমে গেছে।
২০১৪ সালে স্থগিত (২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক সালেহা আক্তার, সংগঠনের নেতা জাকির হোসেন রিয়াদ, মহুয়া আক্তার, পপি ইয়াসমিন, মহসিন আলম, রাসেল আনসারী প্রমুখ।

 

/এসএমএ/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গাজা ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
অনেক নার্ভাস ছিলেন সাইফউদ্দিন
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
বকশিবাজার মোড়ে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
১২ বছর পর মুম্বাইয়ের মাঠে কলকাতার জয়
১২ বছর পর মুম্বাইয়ের মাঠে কলকাতার জয়
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা
নদীতে ধরা পড়ছে না ইলিশ, কারণ জানালেন মৎস্য কর্মকর্তা