করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘসময় ঘরবন্দি ছিল শিশুরা। এই সময়ে বেশি সতর্ক নজরে রাখতে হয়েছে শিশুদের। তাই অনেক শিশু ঘরের বাইরে বের হতে পারেনি প্রায় ছয়-সাত মাস। যদিও আজকাল সবার মতো তারাও বের হচ্ছে। তবে শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বেশ জমকালো পরিবেশ উদযাপনের সুযোগ হয়েছে তাদের। এদিন শিশুরা এঁকেছে প্রাণ খুলে। তাদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ (বাংলাদেশ শাখা) ও গৌরব ৭১ এর উদ্যোগে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শিশুদের চিত্রাঙ্কন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে অংশ নেয় প্রায় ৪৫ জন শিশু-কিশোর।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজা সুলতানা সপ্তর্ষী বাংলা ট্রিবিউনকে বলে, 'এখানে অংশগ্রহণ করতে পারবো বলে কাল রাতে আনন্দে নেচেছি। কারণ, দীর্ঘ ছয়-সাত মাস ধরে আম্মু বাইরে যেতে দেয় না। এর আগেও অনেক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন পর আজ বাইরে এসে চিত্রাঙ্কনের আনন্দটা অন্যরকম।'
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ঋতিকা গোস্বামী বলে, 'আজ খুব ভালো লাগছে। বাইরে অনেক মানুষ। এখানে ছবি আঁকতে এসেছি। অনেক মজা হচ্ছে।'
শিশুদের বাইরে আনতে পেরে অনেকটা সন্তুষ্ট অভিভাবকরা। তবে তাদের রয়েছে উৎকন্ঠাও। অভিভাবক নিভীয়া বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশুদের বিষয়ে সর্তক থাকাটা খুবই জরুরি।'
এই প্রতিযোগিতার আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'শেখ রাসেল শিশুদের একটা অধিকারের জায়গার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই শেখ রাসেল শিশুদের অধিকার, নিপীড়ন বা যেকোনও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হোক। এখানে এই আয়োজনে উদ্দেশ্য শিশুরা শেখ রাসেলের সম্পর্কে জানুক।'