আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীতকরণের পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন থাকায় গত ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস জানান, একটি পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করতে যা যা করা দরকার, প্রশাসন তার সবই করেছে। এমনকি গত বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ১১৬তম সভার প্রধান আলোচ্য সূচি ছিল ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করা। ওই সভায় বিদ্যমান ফরিদপুর পৌরসভা এবং সম্প্রসারিত এলাকা নিয়ে ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সে তফসিল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।’
গত ১৫ নভেম্বর ওই নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পৌরসভার বর্ধিত এলাকার ভোটার মো. আতিয়ার রহমান একটি রিট দায়ের করেন। রিটে পৌরসভার নির্বাচন স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আরজি জানানো হয়েছিল।