X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১
জন্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তারা

‘আহমদ শরীফের মাঝে সত্য বলার ক্ষমতা ছিল প্রবল’

ঢাবি প্রতিনিধি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:৫৪আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:৫৪

ভাষা, বিষয়বস্তু, নিপীড়ন, অন্যায়-অত্যাচার বৈষম্য, শোষণ এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার জন্য আহমদ শরীফ আলাদা মনোযোগ দাবি করতে পারেন। এসব মিলিয়েই তিনি ছিলেন একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক, গবেষক এবং প্রাবন্ধিক অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা ও স্মারক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘ড. আহমদ শরীফ জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি’ এর আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, আহমদ শরীফ সবসময় মানুষের কথা ভাবতেন। তিনি একজন বুদ্ধিজীবী ছিলেন এবং ক্রমাগত তিনি বিকশিত হয়েছেন। বিকশিত হয়ে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই সমাজের অসুখটা কোথায়? তার লেখায় আমরা সেই চিন্তার পরিচয় পাই। প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা, অস্বীকার করার ক্ষমতা, না বলার ক্ষমতা, সত্যকে উচ্চারণ করার ক্ষমতা হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের শক্তির জায়গা। এই শক্তি তার মধ্যে প্রবলভাবে ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আহমদ শরীফ চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদযাপন কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক এবং তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং আহমদ শরীফের ছেলে ড. নেহাল করিম। স্মারক বক্তব্য দেন গবেষক ড. প্রথমা রায়মণ্ডল। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

এবার আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার লাভ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং আবুল কাসেম ফজলুল হক। ডা. জাফরুল্লাহর জীবনী পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আযম।


আনু মোহাম্মদ বলেন, প্রত্যাখ্যান করার ক্ষমতা, অস্বীকার করার ক্ষমতা, না বলার ক্ষমতা, সত্যকে উচ্চারণ করার ক্ষমতা হচ্ছে বুদ্ধিজীবীদের শক্তির জায়গা। এই শক্তি তার মধ্যে প্রবলভাবে ছিল। সেই শক্তি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং পরবর্তীতে আরও অনুপ্রাণিত করবে যদি তার কাজ তরুণ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা যায়।
অধ্যাপক নেহাল করিম স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি সবসময় আমাদের কুসংস্কারমুক্ত রেখেছেন। আমরা যেভাবে যা হতে চেয়েছি, তিনি তা হতে দিয়েছেন। তবে তিনি সবসময় আমাদের সত্যের পথে চলতে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আমরা পণ্ডিত অনেক দেখেছি, লেখকও অনেক দেখেছি, কিন্তু পাণ্ডিত্য ও সাহিত্য চর্চার বাইরে সমাজ মনস্কতা, সমাজ পরিবর্তনের আগ্রহ- এই সমন্বয়টা খুবই দুষ্প্রাপ্য। সেটি আহমদ শরীফের মধ্যে ছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে হেমঙ্গ বিশ্বাসের গান ‘আরও বসন্ত/বহু বসন্ত’ পরিবেশন করে বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এরপর করোনাকালে প্রয়াত বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

/এসআইআর/এমআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুলেশন গৃহীত
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
রোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
ইউরোপা লিগরোমাকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা লেভারকুসেনের
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিগগিরই শুরু হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার তৈরির কাজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী