X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি চায় বিড়ি শ্রমিকরা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৬ জুন ২০২১, ১৩:২০আপডেট : ০৬ জুন ২০২১, ১৩:২০

নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানোসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। রবিবার (৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি জানান ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙ্গালী।

সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হলো— ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিড়ির উপর বৃদ্ধিকরা ৪ টাকা মূল্যস্তর কমানো, বিড়ির ওপর আরোপিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর কমানো, নকল বিড়ি বন্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কঠোর ভূমিকা এবং বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত রাখা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এম কে বাঙ্গালী বলেন, বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। বাজারে বিক্রি হওয়া সিগারেটের প্রায় ৭২ শতাংশই নিম্নস্তরের। এসব সিগারেটের সিংহভাগই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দখলে। অথচ এগুলোর উপর কোন শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে আমরা এ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। গত অর্থবছরে বিড়ির উপর প্রতি প্যাকেটে ৪ টাকা মূল্যস্তর বৃদ্ধি করা হয়েছিল, আর নিম্নস্তরের সিগারেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল মাত্র ২ টাকা। এতে গত অর্থবছরের বাজেটেই বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। এবছর বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটে মূল্যস্তর বৃদ্ধি না করা হলে বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে। ফলে একদিকে সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাবে অন্যদিকে সরকার নিম্নস্তরের সিগারেট থেকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে।

প্রতি বছর বাজেটে বিদেশি সিগারেটের প্রতি আনুকূল্য দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেন বিড়ি শ্রমিকদের এই নেতা। তিনি বলেন, দেশীয় বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। সরকার ধূমপান কমিয়ে আনতে তামাকজাত পণ্যের উপর মাত্রাতিরক্ত করারোপ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের আর্টিকেলেও এ বলা হয়েছে, বাজারে যে ব্র্যান্ডের ভোক্তা বেশি তাতে ৭০ শতাংশ করারোপ হওয়া উচিত। অথচ বাজারে ৭২ শতাংশ দখল হওয়া নিম্নস্তরের সিগারেটে মাত্র ৫৭ শতাংশ করারোপ করা হয়েছে। ফলে মুখে ধূমপান বন্ধের নাম করে সিগারেটকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। এতে আমরা মর্মাহত।

বিড়ি শিল্পে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত উল্লেখ করে এম কে বাঙ্গালী বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে অসহায় বিধবা, স্বামী নিগৃহীত, শারীরিক প্রতিবন্ধী, নদী ভাঙ্গন ও চর এলাকার মানুষ বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি কারখানায় কাজ করে তারা পরিবারের মুখে অন্ন যোগান দেয়। শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার একমাত্র কর্মসংস্থান বিড়ি কারখানা ধ্বংস হলে অনাহারে অর্ধাহারে মারা যাবে বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত কর্মজীবী মানুষ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক মো. হারিক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক মো. শামীম ইসলাম প্রমুখ।

/এসও/ইউএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
কূটনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন-জার্মানির কৌশলগত সংলাপ
কূটনীতি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে চীন-জার্মানির কৌশলগত সংলাপ
বাংলাদেশি ২০ পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক
বাংলাদেশি ২০ পাসপোর্টসহ ভারতীয় ট্রাকচালক আটক
করবিন-সুলতানার দল কি ব্রিটিশ রাজনী‌তি‌তে ভূমিকা রাখ‌তে পার‌বে?
করবিন-সুলতানার দল কি ব্রিটিশ রাজনী‌তি‌তে ভূমিকা রাখ‌তে পার‌বে?
সারা দেশে আগামী কয়েকদিন বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
সারা দেশে আগামী কয়েকদিন বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল