হেফাজতে ইসলাম এতদিন বলে আসছিল যে হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ—মিথ্যা মামলায় হেফাজত নেতাদের আটক করে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। তবে হঠাৎ করেই হেফাজত নেতাদের সুর পাল্টেছে। তারা এখন নিরপরাধ আলেমদের মুক্তি চান।
সোমবার (৭ জুন) সকালে ৩৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে হেফাজত। পরে সেখানে উপস্থিত নেতারা বৈঠক করে এই দাবি জানান। গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় এ দাবির কথা জানানো হয়।
হেফাজতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বৈঠক থেকে হেফাজত নেতারা অবিলম্বে আটক আলেম ও জনতাকে মুক্তি দিতে হবে। অনেক নির্দোষ আলেম ও সাধারণ মানুষ গ্রেফতার হয়ে আছেন। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, তাদের মুক্তি দিন। আলেমদের বয়ানের মিম্বারে ফেরার ব্যবস্থা করুন। অনতিবিলম্বে দেশের সব কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হোক। সরকার এর আগেও কওমি মাদ্রাসা খুলে দিয়েছিল। কোনও মাদ্রাসায় করোনা সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’
বৈঠক উপস্থিত ছিলেন—হেফাজত মহাসচিব নুরুল ইসলাম, নায়েবে আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা আব্দুল হক, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ী), মাওলানা ইয়াহিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা আনোয়ারুল করিম, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা মোবারক উল্লাহ, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসতাক আহমদ, মাওলানা শাব্বির আহমদ রশিদ, মাওলানা আনাস (ভোলা), মাওলানা মাহমুদুল আলম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মীর ইদরিস, আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা জামাল উদ্দীন।