বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য আমাদের সেবার মান আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ করার সময় এখন। ডিজিটাল পদ্ধতি কাজ সহজ করে দিয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির মাধ্যমে কাজ করার দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেলো।’
সোমবার (২৮ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ দফতর বা সংস্থাগুলোর ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর এবং শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এজন্য সকলকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি অফিসে সেবার মান বৃদ্ধির জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করেছে।’
উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির উপস্থিতিতে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদফতরের নিবন্ধক শেখ সোয়েবুল আলম, আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রক সোলায়মান খান, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান।
২০২০-২০২১ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম এবং কম্পিউটার অপারেটর তানজিনা হক। এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী তাদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
